২০২৩ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, অ্যাশেজ সিরিজ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রত্যেকটি প্রতিযোগিতায় অজিদের অধিনায়ক ছিলেন প্যাট কামিন্স। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে একের পর এক ট্রফি উপহার দিয়ে জিতেছেন আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তকমা। অথচ সেই কামিন্সকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বছরসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন মিচেল মার্শ।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) প্যাট কামিন্সকে পেছনে ফেলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) বর্ষসেরা ‘অ্যালান বোর্ডার’ পুরস্কার জিতেছেন মিচেল মার্শ। এ ছাড়া মেয়েদের ক্রিকেটে টানা দ্বিতীয়বার বর্ষসেরার পুরস্কার পেয়েছেন অ্যাশলে গার্ডনার।
মার্শের কাছে বড় ব্যবধানেই হারের স্বাদ পেয়েছেন প্যাট কামিন্স। ৭৯ ভোটের ব্যবধানে প্রথমবারের মতো অ্যালন বোর্ডার পুরস্কার জিতলেন মার্শ। ২০২৩ সালে ৬ টেস্টে ৫৯৪ রান করেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। শুধু টেস্টেই নয়, বছরজুড়ে ওয়ানডেও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি।
ওয়ানডে সংস্করণে ১১৩.৯৪ স্ট্রাইক রেট এবং ৪৭.৬৬ গড়ে ৮৫৮ রান করেন মার্শ। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৪৪১ রান সংগ্রহের পথে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১৭৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন অজি অলরাউন্ডার। মার্শের চেয়ে কোনো দিক থেকে পেছনে ছিলেন না অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। ২০২৩ সালে বল ৬৫ উইকেট শিকার করেন ডানহাতি পেসার। এর পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও ৪২২ রান রয়েছে কামিন্সের। তবুও মার্শের সঙ্গে পেরে উঠেননি আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার।
অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস পেরিকে ১৩ ভোটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার বর্সসেরার পুরস্কার জিতেছেন অ্যাশলে গার্ডনার। ব্যাটে-বলে পুরো বছরেই দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। নারী অ্যাশেজে ১৬৫ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে ১২ উইকেট শিকার করেন গার্ডনার।
মন্তব্য করুন