বোলিং ফিগার ৩-১-১৪-২। ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবীর স্টাম্প ভাঙলেন কাগিসো রাবাদা। আফগান ব্যাটারদের রীতিমতো চেপে ধরেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি এ পেসার। আফগানদের ৫৬ রানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার দিনে বোলিংয়ে উজ্জ্বল ছিলেন ২৯ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এ বোলার। ইনিংস বিরতিতে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের মাইকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ জেতার আত্মবিশ্বাসও ঝরেছে তার কণ্ঠে।
প্রথমবার যে কোনো সংস্করণের বৈশ্বিক আসরের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গতকাল সকালে আফগানিস্তান রূপকথা থামিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে জায়গা করে নেয় প্রোটিয়ারা। সেমির অপয়া খ্যাতি পাওয়া প্রোটিয়াদের সামনে এখন শিরোপা জয়ও যেন হাত ছোঁয়া দূরত্ব।
দলের অন্যতম পেসার কাগিসো রাবাদা তো বিশ্বাসই করেন বিশ্বকাপ জিতবেন তারা। ইনিংস বিরতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আমাদের এই দল বিশ্বকাপ জিততে পারে। আর সেটা বিশ্বাস না করলে মাঠে খেলতে নামবই বা কেন?’
রাবাদা হয়তো ঠিকই বলেছেন! বিশ্বাস না করলে কেনই বা খেলতে নামবেন তারা। ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭, ২০০৯, ২০১৪, ২০১৫, ২০২৩— ৭টি বৈশ্বিক আসরের সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। কখনো অঙ্কের ভুলে, কখনোবা নিজেরাই চোক করে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল প্রোটিয়াদের। এবার অতীতের সব আক্ষেপ মুছে প্রথমবার বৈশ্বিক কোনো শিরোপা জয়ের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের দিনে সেরা বোলিংটা করতে পেরে উচ্ছ্বসিত রাবাদা বলেন, ‘এমনটা হবে (প্রতিপক্ষ ৫৬ রানে অলআউট), আমরা তা একেবারেই ভাবিনি। আমরা এখানে এসে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে চেয়েছিলাম। আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চেয়েছিলাম। আর সেটাই হয়েছে।’
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামের উইকেট দুহাত ভরে দিয়েছে প্রোটিয়া পেসারদের। ১০ উইকেটের ৭টিই নিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন, রাবাদা ও এনরিখ নরকিয়া। এমন দিনে যেভাবে যা করতে চেয়েছিলেন, সেভাবেই সেটা হয়েছিল। সবকিছুর জন্য খুশি রাবাদা, ‘বল এখানে অনেকটা সুইং-সিং করছিল। আমরা শুধু ঠিক জায়গায় বলটা করে গিয়েছিলাম, এতে লাভবান হয়েছি। রোজ যেমনটা খেলি, তেমনটাই খেলার চেষ্টা করেছিলাম আমরা। কখনো কখনো এমনও হয় যে খুব ভালো বল করেও উইকেট পাওয়া যায় না। তবে আজকের যা হয়েছে তাতে আমি বেশ খুশি।’
রাবাদারা তো খুশিই হওয়ার কথা। পাওয়ার প্লেতেই তারা আফগানদের ৫ ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। বাকি সময়টা আফগানরা শুধু তাকিয়ে ছিল…।
মন্তব্য করুন