গ্রহের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। এ ব্যাপারে কোনো প্রকার ছাড় দিতে চান না মেসি ভক্তকুল। তাই তো আর্জেন্টাইন মহাতারকা যেখানেই যান না কেন, হুমড়ি খেয়ে পড়েন তারা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, শনিবার চীনে যান আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাকে একনজর দেখতে বেইজিং বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার মেসি সমর্থক।
আর মেসি আর্জেন্টিনায় খেলেন বলেই বাংলাদেশের মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। এর আগেও বাংলাদেশের মানুষ দেখিয়েছেন ম্যারাডোনাপ্রীতি থেকে আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোবাসা। আর কাতার বিশ্বকাপে সেই ভালোবাসা-উদ্দীপনা হার মানায় অতীতের কোনো সময়ের চেয়ে। এর কারণ একটাই—মেসি।
ইউরোপের পাট চুকিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে নাম লেখাতে যাচ্ছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। আগামী মৌসুমে খেলবেন মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে। মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইন্টার মায়ামির অনুসারীর সংখ্যা বাড়ছে হু-হু করে।
গুগলে ফ্লোরিডাভিত্তিক এই ক্লাবটির খোঁজ শুরু করেন সারা বিশ্বের মেসিভক্তরা। গুগলে গত ৭ দিনে ইন্টার মায়ামিকে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। গুগলে এই খোঁজার দিক থেকে আজেন্টাইনদের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশিরা।
মূলত গুগল ট্রেন্ডে কোনো ওয়েব সার্চের সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তার মানদণ্ড হচ্ছে ১০০। বাংলাদেশ এখানে ১০০তে একশই পেয়েছে। আর্জেন্টিনার প্রাপ্ত নম্বর ৮৪। বাংলাদেশ আর্জেন্টিনার পর এই তালিকার তৃতীয় নাম নেপালের। তারা পেয়েছে ৮২।
এরপর ৮১ নম্বর নিয়ে চারে হাইতি (৮১)। আর পাঁচে থাকার আইভরি কোস্টের পয়েন্ট ৭৩। এই তালিকায় সেরা দশে আছে ইরাক, ইয়েমেন, কঙ্গো, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া। মেসিকে নিজেদের লিগে নিতে চাওয়া সৌদি আরব আছে এই তালিকার ১৪ নম্বরে।
আর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৫১ নম্বরে। এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ ইন্টার মায়ামি যতই নতুন ক্লাব হোক না কেন, নিজেদের দেশের ক্লাব সম্পর্কে মার্কিনিদের ভালোই জানাশোনা থাকার কথা। এর আগে প্রাথমিকভাবে আলোচনায় থাকলেও মেসির দলবদলের শেষ দিকে আলোচনায় ছিল না ইন্টার মায়ামি। তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান শেষে বার্সেলোনা, প্যারিসের পর এবার মায়ামিতে ঘাঁটি গড়তে যাচ্ছেন গ্রহের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি শহরে দুটি জমি আছে মেসির। জানা গেছে একটিতে থাকবেন মেসির বাবা-মা। আর উপকূলের কাছাকাছি আরেকটি জায়গায় স্ত্রী ও তিন সন্তানের সঙ্গে থাকবেন মেসি। অবাক করার মত বিষয় হলো, মায়ামির এই অ্যাপার্টমেন্টটি প্রায় দেড় বছর আগেই কিনেছিলেন তিনি।
তাহলে বলাই যায় প্রায় দুই দশকের ইউরোপে বর্নাঢ্য ক্যারিয়ার, যুক্তরাষ্ট্রে ইতি টানার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে রেখেছিলেন মেসি। ইউরোপয়ী ফুটবলকে বিদায় বললেও, আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়াবাণিজ্যের প্রধান তারকা যে মেসিই হবেন তাতে মোটেও সন্দেহ নেই।
মন্তব্য করুন