ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর লিওনেল মেসিও লা লিগা ছেড়ে গেছেন। সময়ের সেরা দুই তারকা স্পেন ছেড়ে গেলেও লা লিগা আকর্ষণ হারায়নি, তাদের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনাও পথ হারায়নি। কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমানোর পর লিগ ওয়ান আকর্ষণ হারিয়েছে, ধাক্কা খেয়েছে প্যারিস সেন্ট-জার্মেই!
এমবাপ্পের পার্ক দেস প্রিন্সেস ছেড়ে যাওয়াকে বড় শূন্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা প্যারিসের ক্লাবটির একটি যুগের সমাপ্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। গেল ১২ মৌসুমে ১০ লিগ শিরোপা জয়ী পিএসজি বিশাল অধিপত্য বিস্তার করেছিল। এ সাফল্যের নেপথ্য কারিগর ছিলেন এমবাপ্পে। ঘরোয়া সাফল্য দিয়ে দলকে আলোকিত করলেও ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা এনে দিতে পারেননি ফরাসি তারকা। কিলিয়ান এমবাপ্পে পিএসজি ছাড়ার পর ফ্রেঞ্চ লিগকে সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় উন্মুক্ত মনে হচ্ছে।
দলকে নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা আঁটা প্রধান কোচ লুইস এনরিকের ওপর আছে ফ্রান্সে পিএসজির আধিপত্য ধরে রাখার চাপ। সে চাপ প্রশমনে উসমানে দেম্বেলে এবং গনসালো রামোসদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে স্প্যানিশ কোচকে। প্যারিসের ক্লাবটি বেনফিকা থেকে ১৯ বছর বয়সী পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেসকে উড়িয়ে এনেছে।
লিগ ওয়ানে এবার লিঁলকে পিএসজির সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করা হচ্ছে। ব্রুনো জেনেসিও ক্লাবটির প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ায় লড়াইটা প্রকট হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাবেক লিঁও বস ভালো একটা স্কোয়াড হাতে পেয়েছেন। দলটির রক্ষণ শক্তিশালী করতে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার থমাস মিউনিয়ার এবং আইসা মান্ডির মতো খেলোয়াড়দের যুক্ত করা হয়েছে। কিলিয়ান এমবাপ্পের সহোদর ইথান এমবাপ্পে পিএসজি ছেড়ে লিঁলে এসেছেন।
মোনাকো, নিস, লিঁও, মার্শেইর মতো ক্লাবগুলো আছে পিএসজিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে। মোনাকো গত মৌসুমে পিএসজির সঙ্গে লড়াই করলেও পেরে ওঠেনি। রানার্সআপ ট্রফিতেই সান্ত্বনা খুঁজতে হয়েছিল ক্লাবটিকে। নতুন অভিযানে মোহাম্মদ কামারা ও অধিনায়ক উইসাম বেন ইয়েদারকে পাচ্ছে না ক্লাবটি। মোহাম্মদ কামারা সৌদি আরবের ক্লাব আল-সাদে যোগ দিয়েছেন। মেয়াদ শেষে বেন ইয়েদারের সঙ্গে চুক্তি বর্ধিত করেনি ক্লাবটি। দেখা যাক নতুন মৌসুমে মোনাকো কতদূর যেতে পারে! ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক স্ট্রাইকার ম্যাসন গ্রিনউড মার্শেইয়ে নাম লেখান। ২২ বছর বয়সি তারকার অন্তর্ভুক্তিকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
কিলিয়ান এমবাপ্পে পরবর্তী লিগ ওয়ানের খেলাগুলো দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর ইস্যুতে আরেক চ্যালেঞ্জের মুখে। কারণ ব্রিটিশ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ডেনজ প্রতি মৌসুমে লিগ ওয়ানকে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে থাকে। পাঁচ বছরের চুক্তিতে লগ্নিকৃত অর্থ তুলে নিতে স্ট্রিমিং খরচও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফরাসি লিগের ম্যাচগুলোর ডেনজ আনলিমিটেড এক্সেস পেতে মাসে গুনতে হবে ২৯.৯৯ ইউরো। বিইন স্পোর্টসের এক্সেস পেতে হলে মাসে গুনতে হবে অতিরিক্ত ১৫ ইউরো। দুটি প্ল্যাটফর্মের খরচ বিগত দিনের তুলনায় বেশি। যে কারণে ফ্রান্সে ‘বয়কট ডেজন’ হ্যাশট্যাগ বাড়ছে।
মন্তব্য করুন