বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট ক্লাব ফুটবল ম্যাচ দেখতে কেউ কিনে টিকিট, কেউ খোঁজে ব্ল্যাক মার্কেট। কিন্তু বেলজিয়ামের দুই তরুণ নিল রেমেরি ও সেন হ্যাভারবেকে বেছে নিলেন একেবারে অন্য এক কৌশল— মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় টয়লেটে ২৭ ঘণ্টা লুকিয়ে থেকে বিনা মূল্যে দেখলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল!
স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম ভিআরটি নিউজকে তারা জানান, ম্যাচের আগের দিনই তারা ঢুকে পড়েন স্টেডিয়ামে। তারপর শৌচাগারের দুটি কমোডের দরজায় ঝুলিয়ে দেন হাতের তৈরি 'আউট অব অর্ডার' সাইনবোর্ড। সেই সাইন দেখে পুরো একদিন ধরে স্টাফরাও ওই ঘরে না ঢুকে কাজ সারেন বাইরে।
'ব্যাকপ্যাকে করে কিছু স্ন্যাকস নিয়ে গিয়েছিলাম। সময় কাটাতে মোবাইলে গেম খেলেছি, কিন্তু আলো সবসময় জ্বলছিল আর বসার জায়গাও আরামদায়ক ছিল না। ঘুমাতে পারিনি, মানসিক ও শারীরিকভাবে বেশ কষ্ট হয়েছে,' বলেন রেমেরি।
ম্যাচের দিন যখন তারা বাইরে দর্শকদের পদচারণা শুনতে পান, তখন বুঝে যান সময় এসেছে। বেরিয়ে এসে কৌশলে পাশ কাটিয়ে যান টিকিট চেকিং— হাতে খাবার আর ফোনে কথা বলার ভান করে। তারপর ঢুকে পড়েন স্ট্যান্ডে, তাও আবার বিজয়ী দলের গ্যালারিতেই!
'আমরা খেয়াল করছিলাম কোন নিরাপত্তারক্ষীটা সবচেয়ে কম মনোযোগী। তাকে পাশ কাটিয়েই ঢুকে যাই। পিএসজি ৫-০ গোলে জেতে, আর আমরা বিজয়ী সমর্থকদের মাঝেই খেলা দেখি। জীবনের সবচেয়ে সুন্দর ফুটবল ম্যাচ ছিল এটা,' হাসিমুখে বলেন রেমেরি।
এই ঘটনাটি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে টিকটকে। ভিডিওতে তাদের দুঃসাহসিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন দেখে হতবাক অনেকেই।
এদিকে ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা ও আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য দেয়নি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল মানেই কড়া নিরাপত্তা, হাই-প্রোফাইল আয়োজন। কিন্তু সেখানেও বুদ্ধির জোরে ঢুকে পড়া এই দুই তরুণ প্রমাণ করে দিলেন, ফুটবল ভালোবাসা যখন পাগলামির রূপ নেয়, তখন শৌচাগারের মধ্যেও জন্ম নেয় ইতিহাস!
মন্তব্য করুন