দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ের আগে গুয়ায়াকুইলের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে শেষ অনুশীলন সারলো ব্রাজিল জাতীয় দল। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় ইকুয়েডরের মুখোমুখি হচ্ছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচটি শুধু বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পয়েন্ট টেবিলের জন্যই নয়, কোচ কার্লো আনচেলত্তির অভিষেকের জন্যও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ইতালিয়ান এই কোচ বুধবার স্টেডিয়ামে দলকে শেষবারের মতো অনুশীলন করান। যদিও সংবাদমাধ্যমের জন্য খোলা ছিল মাত্র ১৫ মিনিট, যেখানে দেখা গেছে শুধু ওয়ার্মআপের দৃশ্য।
সম্ভাব্য একাদশ:
ব্রাজিল যে দলটি নিয়ে মাঠে নামতে পারে, সেটি আগে থেকেই কিছুটা আঁচ করা গেছে। মঙ্গলবার সাও পাওলোতে অনুশীলনের সময় যে একাদশ গড়া হয়েছিল, সেটিই হতে পারে আনচেলোত্তির প্রথম ম্যাচের একাদশ:
আলিসন, ভান্ডারসন, মার্কিনিয়োস, আলেক্স, আলেক্স সান্দ্রো; কাসেমিরো, ব্রুনো গিমারায়েস, জার্সন; এসতেভাঁও, রিচার্লিসন এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
তবে রাফিনহা দলের সঙ্গে থাকলেও দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারণে ম্যাচে খেলতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি তার কৌশলগত ভাবনা শেয়ার করেন, ‘শুধু আক্রমণ দিয়ে ম্যাচ জেতা যায় না। আমাদের খেলতে হবে পূর্ণাঙ্গ একটি ম্যাচ—আক্রমণ ও রক্ষণের সামঞ্জস্য থাকতে হবে। আমাদের মিডফিল্ডে যথেষ্ট সৃজনশীলতা আছে, এটা কাজে লাগাতে হবে। আবার রক্ষণেও সবাইকে একসাথে লড়তে হবে। আমি এমন একটি দল চাই, যারা প্রতিপক্ষকে চাপে রাখবে, ফিজিক্যাল খেলা দেবে এবং ম্যাচে পুরোপুরি মনোযোগী থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ হবে শারীরিক শক্তির লড়াই। সেজন্য খেলোয়াড়দের সাহস হারালে চলবে না।
মাত্র তিনটি পূর্ণ অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন আনচেলত্তি। এর মধ্যেই তিনি চেষ্টা করেছেন দলকে গোছাতে—বল রিলিজ, প্রেসিং মুভমেন্ট, কর্নার-ফ্রিকিকের মতো সেট-পিসে পজিশনিং নিয়ে।
২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইয়ে ১৪ ম্যাচ শেষে ব্রাজিল ২১ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে চতুর্থ স্থানে। আর ইকুয়েডর ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়। সেক্ষেত্রে এই ম্যাচের ফলাফল বাছাইপর্বে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
আনচেলত্তির কোচিংয়ে ব্রাজিল কেমন খেলে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। গুয়ায়াকুইলের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার ভোরেই মিলবে সেই উত্তর।
মন্তব্য করুন