দেশের বাইরে নিয়মিত ক্যাম্প করে থাকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সবশেষ ২০২৩ সালের মার্চে সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছিল জামাল-তপুরা। তিন সপ্তাহের নিবিড় সেই ক্যাম্পের ফলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে খেলে লাল-সবুজেরা। এমনটা দাবি ছিল দলের কোচ ও ফুটবলারদের।
চলতি বছর মার্চে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে জামাল-মোরসালিনরা। তার আগে আবারও সৌদি আরবে ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ দল। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘২ মার্চ সৌদি আরব যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে আল তাঈফ শহরে ক্যাম্প করবে ও কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে। সেখান থেকে ১৭ মার্চ কুয়েত রওনা হবে। ২১ মার্চ ম্যাচ খেলে দেশে ফিরে হোম ম্যাচের প্রস্তুতি নেবে।’
এছাড়াও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম লেগ ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। মার্চ উইন্ডোর দুই ম্যাচের জন্য পরের দিন জাতীয় দল ঘোষণা হতে পারে। ২ মার্চ সৌদি আরব রওনা হওয়ার আগে দেশে কোনো অনুশীলন হবে না বলে জানান কমিটির চেয়ারম্যান, ‘ফেব্রুয়ারি মাস এমনিতেই স্বল্প। লিগের পর খেলোয়াড়দের কয়েক দিন বিশ্রাম দেওয়া হবে। দেশে কোনো অনুশীলন হবে না। একেবারে সৌদি আরবে হবে।’
আগামী ২ মার্চ সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ। ১৭ মার্চ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবে। আল তাইফ শহরের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে হবে এই ক্যাম্প। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দল ঘোষণা করবেন প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। সেখানে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছে বাফুফে।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা দল নিয়ে বলেন, “অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। নভেম্বরের কার্যক্রমের পর্যালোচনা এবং আসন্ন ম্যাচের লক্ষ্য নিয়েও আমরা কথা বলেছি। গত বছর আমরা যা অর্জন করেছি, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সৌদি আরবে পরিচালিত ক্যাম্পে। এ যাত্রায়ও আমাদের লক্ষ্য আছে। গোটা দল একসঙ্গে সেখানে দুই সপ্তাহ অনুশীলন করবে। যা আমাদের জন্য ইতিবাচক। স্থানীয় বেশকিছু খেলোয়াড় লিগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কেউ গোল করেছেন, কেউ অ্যাসিস্ট করেছেন। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক।”
মন্তব্য করুন