প্রাক মৌসুম একদমই ভালো কাটেনি লিওনেল মেসির দল ইন্টার মায়ামির। এ ছাড়া মায়ামির হয়ে হংকংয়ে না খেলা নিয়ে তো পুরো যাচ্ছেতাই কাণ্ডই হয়ে গেল। সেখান থেকে মেসির দল লীগ মৌসুম কেমন শুরু করে তা নিয়েই আলোচনা ছিল ফুটবল অঙ্গনে। তবে সব আলোচনা থামিয়ে মেসি এবং মায়ামি মেজর লিগ সকারে দুর্দান্ত শুরুই করেছে।
মেসির দলের ভালো শুরু ছাড়াও আরেকটি বিষয়ের জন্য মায়ামির ম্যাচগুলো ফুটবল দুনিয়ায় চর্চায়। তা হলো চার বছর পর আবারও লিওনেল মেসি আর লুইস সুয়ারেজের একত্রে খেলা। স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার চার সাবেক খেলোয়াড় খেলায় মায়ামিবে এখন মিনি বার্সায় বলা যায়। বার্সায় যেমন মেসি-সুয়ারেজরা একের পর এক রেকর্ড করেছেন, মায়ামিতে এসেও থেমে নেই তারা। এবার দুজনে মিলে করে ফেলেছেন গোলের সেঞ্চুরি। দুজনের মাঠের বোঝাপড়া যে এখনও আগের মতোই আছে সেটা আবারও প্রমাণ করলেন মেসি-সুয়ারেজ জুটি।
শনিবার (২ মার্চ) রাতে ফ্লোরিডা ডার্বিতে ওরল্যান্ডো সিটিকে ৫-০ গোলে এক প্রকার বিধ্বস্তই করে ইন্টার মায়ামি। গোলের বণ্যায় রীতিমতো ভেসে গেছে মায়ামির নগর প্রতিদ্বন্দ্বীরা। যে ম্যাচে আবার মেসি-সুয়ারেজ দুজনই করেছন জোড়া গোল।
পাঁচটা গোলের পাঁচটাতেই অবদান আছে সুয়ারেজের। নিজের দুই গোল তো আছেই বাকি ৩টাতেও অ্যাসিস্ট করেছেন মেসির বন্ধু। বুড়ো বয়সেও মায়ামিতে আলো ছড়ানোর একটা ম্যাচ পার করা যাকে বলে।
৬২ মিনিটে মেসি যখন জাল কাঁপিয়ে সব লিগ মিলিয়ে ৫০০তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন, তখন আরও একটি কীর্তি হয়। আর সেটা হলো সুয়ারেজের সঙ্গে তার গোলের সেঞ্চুরি। দুজনে একসঙ্গে খেলেছেন ২৬১ ম্যাচ। একে অন্যের অ্যাসিস্টে ১০০টি গোল হয়ে গেল তাদের।
সুয়ারেজের সহায়তায় ৫৭ গোল করেছেন মেসি, আর আর্জেন্টাইন মহাতারকার অ্যাসিস্টে উরুগুয়ান তারকা করেছেন আরও ৪৩ গোল।
ম্যাচ শেষে অ্যাপল প্লাস টিভিতে বন্ধু সম্পর্কে লিওনেল মেসি বলেছেন, ‘আমি খুব খুশি, সে গোল করতে পেরেছে। আমরা এমনিতেই শান্ত ছিলাম, আমরা জানি লুইস কী এবং সে কী করতে সক্ষম এবং সবাই এটা জানে। সে এমনই, যখন আপনি ন্যূনতম প্রত্যাশা করেন তখন সে আপনার জন্য একটি ম্যাচ সমাধান করে, যেমনটি সে আজ করেছে, গোল করেছে, গোলে সহায়তা করেছে।’
অন্যদিকে মেসি সম্পর্কে সুয়ারেজ বলেছেন, ‘ও তো আমার সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানে। আশা করি দুজনে এমনি ভাবেই মায়ামির জন্য গোল করে যাব।’
মেজর লিগ সকারে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত মেসি-সুয়ারেজের ইন্টার মায়ামি। এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে দুইটাতেই জিতেছে তারা আর একটাতে ড্র। দুই জয়ের ম্যাচে মায়ামি কোনো গোলও হজম করেনি।
এমএলএসে মায়ামি যেভাবে আগাচ্ছে তাতে দলটা যে এবার ভালো কিছু করতে যাচ্ছে সেটার একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবে লিগের কেবলই শুরু। মায়ামিকে পাড়ি দিতে হবে লম্বা পথ। বাকিটা সেই পথেই মিলিয়ে নেওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন