বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় কোপা আমেরিকাকে। বিশ্বের সেরা দুই দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে দেখা যায় মহাদেশীয় এই আসরে। এ ছাড়াও বিশ্বের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি-নেইমারের মতো তারকাদেরও পা পড়ে এ আসরে। এবার নতুন খবর মেসি-নেইমারদের দেশের ফুটবল প্রতিযোগিতায় দেখা যেতে পারে ইসরায়েলকে।
সম্প্রতি ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আইএফএ) দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কনমেবলের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির কারণে ইসরায়েল খুব আশাবাদী যে ইসরায়েল জাতীয় দল কোপা আমেরিকার ভবিষ্যৎ সংস্করণে অংশ নিতে সক্ষম হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) আইএফএ ঘোষণা করে যে তারা ‘মহান কনমেবল পরিবারে যোগ দিতে পেরে গর্বিত’, যার সদস্যদের মধ্যে রয়েছে বর্তমান বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা এবং পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
প্যারাগুয়ের আসুনসিওনে কনমেবোল কংগ্রেস চলাকালীন তার সভাপতি আলেজান্দ্রো ডমিঙ্গুয়েজ এবং আইএফএ সভাপতি মোশে জুয়ারেস ঐতিহাসিক এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
জুয়ারেস মার্কিন ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য অ্যাথলেটিককে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েল ফুটবলের জন্য মুহূর্তটি বিশেষভাবে উত্তেজনাপূর্ণ। ঐতিহাসিক এই মুহূর্ত ইসরায়েলের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও পরিচিত করে তুলবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কনমেবলের সভাপতি এবং (ফিফার) সহসভাপতি আলেজান্দ্রো গুইলারমো ডমিনগুয়েজের সঙ্গে আমাদের সত্যিকারের বন্ধুত্ব রয়েছে। যা ইসরায়েলি ফুটবলের জন্য (এই) বিস্ময়কর ফলের জন্ম দিয়েছে।’
তিনি আশা করেন ইসরায়েল ভবিষ্যতে কোপা আমেরিকা খেলবে। তিনি বলেন, ‘আমি খুব আশা করি, ইসরায়েলের জাতীয় দল কনমেবল দ্বারা আয়োজিত একটি বড় টুর্নামেন্টের অংশ হবে, এমনকি সেটি হতে পারে কোপা আমেরিকাও।’
আইএফএ তাদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পৃথক ভিডিওতে দেখা যায় কনোমবোল কর্মকর্তাদের পাশাপাশি একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছে।
অ্যাথলেটিকের প্রতিনিধিরা ফিফার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা চুক্তির বিষয়ে মন্তব্য করবে না বলে জানায়।
অবশ্য ইসরায়েল কোপা আমেরিকায় অংশ নেওয়া প্রথম অপ্রচলিত দেশ হবে না। জাপান দুবার এবং কাতার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অংশগ্রহণ করেছে, অন্যদিকে চীন এবং অস্ট্রেলিয়া অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে কয়েকবার।
এদিকে ইসরায়েল ১৯৯৪ সাল থেকে ইউরোপীয় কনফেডারেশন উয়েফার সদস্য। তারা কখনোই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেনি কিন্তু ইউরো ২০২০ এবং ইউরো ২০২৪ এ প্লে-অব রাউন্ড পর্যন্ত পৌঁছেছে।
ইসরায়েল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিল এবং ১৯৬৪ সালে এশিয়ান কাপ জয়ও করেছিল। পরে বেশ কয়েকটি দল তাদের বিরুদ্ধে খেলতে অস্বীকার করার পরে একটি ভোটে ১৯৭৪ সালে এএফসি প্রতিযোগিতা থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন