রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দলের বিদায়ে কানসেলোর পরিবারের মৃত্যু কামনা বার্সা সমর্থকদের

জোয়াও কানসেলো। ছবি : সংগৃহীত
জোয়াও কানসেলো। ছবি : সংগৃহীত

ফুটবল এমন একটি খেলা যেখানে সমর্থকদের যুক্তির চেয়ে আবেগ বেশি কাজ করে। দল হারলে চিন্তার চেয়ে আবেগ কাজ করে বেশি। যার প্রভাবে ম্যাচ জয়ে যে দলের খেলোয়াড়দের মাথায় নিয়ে নাচে, ম্যাচ হারে সেই একই খেলোয়াড়ের মৃত্যু কামণা করতে পিছপা হয়না সমর্থকরা। এমনটাই দেখা গেলো বার্সেলোনার সমর্থকদের ক্ষেত্রে।

সাধারণত প্রায়ই ইউরোপিয়ান ফুটবলে দলের পরাজয়ে ফুটবলার কিংবা তার পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা হওয়ার নজির দেখা যায়। তবে এবার বার্সেলোনার খেলোয়াড় জোয়াও কানসেলোর সাথে বার্সা সমর্থকরা যা করলেন তাকে নিষ্ঠুরই বলা চলে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বার্সেলোনার বিদায়ে জোয়াও কানসেলোর স্ত্রী, অনাগত সন্তানসহ পরিবারের সকল সদস্যদের মৃত্যু কামনা করছে কিছু বার্সা সমর্থক।

এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৩-২ গোলে জিতলেও দ্বিতীয় লেগে ৪-১ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয় স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার। বাজে এই হারে চলতি মৌসুমে কোন ট্রফি জয় প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ালো বার্সার জন্য। দলের এমন বাজে অবস্থায় সমর্থকদের রোষানলে পড়েছেন জোয়াও কানসেলো।

সমর্থকদের এই আচরণে অবশ্য বেশ হতাশ হয়েছেন এই ফুটবলার। ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কানসেলো হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আসলে লোকে তো অনেক ধরনের কথাই বলে। তবে ইনস্টাগ্রামে কিছু মন্তব্যে আমার যে মেয়ের এখনো জন্ম হয়নি তার মৃত্যুও কামনা করা হয়েছে, যা আমাকে কাঁদিয়েছে। আমার সঙ্গিনীর প্রতি, আমার মেয়ে, অনাগত সন্তান, সবার প্রতি আক্রোশ দেখায় তারা। অথচ তারা ভুলে যায় ফুটবল বাদেও দুনিয়াও আছে।

‘পৃথিবীটা আসলে খুবই নিষ্ঠুর এবং এটা মেনে নিয়েই চলা শিখতে হয় আমাদের। আমি জানি, কীভাবে চলতে হয়। তবে সত্যি বলতে, জানি না আর কী বলার আছে। একটা বাচ্চার মৃত্যু কামনা করা মানে ভয়ানক ব্যাপার। টিভিতে দেখা ফুটবলারের আড়ালে আমরা একজন মানুষ। আমরা সবাই তো একই।’-যোগ করেন কানসেলো।

কানসেলোর ওপর বার্সেলোনা সমর্থকদের অবশ্য আক্রোশের আলাদা কারণ আছে। দ্বিতীয় লেগে ওসমান ডেম্বেলেকে করা কান্সেলোর ফাউল থেকেই পেনাল্টি পেয়ে তৃতীয় গোলটি করে পিএসজি। যে কারণে বার্সেলোনার পরাজয়ের পর বিশ্লেষক ও সংবাদমাধ্যমের কাঠগড়ায় তোলা হয় এই ডিফেন্ডারকে।

তবে নিজের নামে সমালোচনা মেনে নিতে পারলেও পরিবারের কারো মৃত্যু কামনা করার মতো ব্যাপার মেনে নিতে পারছেন না ২৯ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ তারকা, ‘আমার পারফরম্যান্সের সমালোচনা যত ইচ্ছা করুন, সমস্যা নেই। কিন্তু দয়া করে পরিবারকে টানবেন না।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজীপুরে রাতের আঁধারে সড়কে ঝরল ৩ প্রাণ

তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর গুঞ্জন

আ. লীগের সহসম্পাদক ব্যারিস্টার হাবিব গ্রেপ্তার

এক টাকারও অভিযোগ দিতে পারলে রাজনীতি থেকে ইস্তফা দিব : সারজিস

ঢাকা মহানগর আদালতে পরিচ্ছনতা অভিযান

উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নারীসহ ফার্মাসিস্ট আটক

৮ দিন পর খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদারকে ডেকে নিয়ে মারধর

মাউন্ট-সেশকোর গোলে ম্যানইউর স্বস্তির জয়

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিবু প্রসাদ গ্রেপ্তার

১০

‘শহিদুল আলম ও গাজার পাশে আছি-থাকব’

১১

রেবতী মহাজন বাড়ির বিজয়া সম্মিলনী

১২

জামায়াত ধর্মের জন্য ক্ষতিকর : আমিনুল হক

১৩

এভারেস্ট বেজ ক‍্যাম্প সামিট ৮ বাংলাদেশির

১৪

তারেক রহমানের ৩১ দফায় দেশের উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা : আবু বকর সিদ্দিক

১৫

মানবাধিকার কর্মীদের আটকের ঘটনা কলঙ্কজনক অধ্যায় : মুহিউদ্দীন রাব্বানী

১৬

শিয়ালের কামড়ে মেম্বারসহ আহত ১১

১৭

কাশফুলের গালিচায় মোড়া বরিশালের বিসিক

১৮

উপ-সহকারীর ভরসায় চলছে ২০ শয্যার হাসপাতাল

১৯

মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক 

২০
X