স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দলের বিদায়ে কানসেলোর পরিবারের মৃত্যু কামনা বার্সা সমর্থকদের

জোয়াও কানসেলো। ছবি : সংগৃহীত
জোয়াও কানসেলো। ছবি : সংগৃহীত

ফুটবল এমন একটি খেলা যেখানে সমর্থকদের যুক্তির চেয়ে আবেগ বেশি কাজ করে। দল হারলে চিন্তার চেয়ে আবেগ কাজ করে বেশি। যার প্রভাবে ম্যাচ জয়ে যে দলের খেলোয়াড়দের মাথায় নিয়ে নাচে, ম্যাচ হারে সেই একই খেলোয়াড়ের মৃত্যু কামণা করতে পিছপা হয়না সমর্থকরা। এমনটাই দেখা গেলো বার্সেলোনার সমর্থকদের ক্ষেত্রে।

সাধারণত প্রায়ই ইউরোপিয়ান ফুটবলে দলের পরাজয়ে ফুটবলার কিংবা তার পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা হওয়ার নজির দেখা যায়। তবে এবার বার্সেলোনার খেলোয়াড় জোয়াও কানসেলোর সাথে বার্সা সমর্থকরা যা করলেন তাকে নিষ্ঠুরই বলা চলে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বার্সেলোনার বিদায়ে জোয়াও কানসেলোর স্ত্রী, অনাগত সন্তানসহ পরিবারের সকল সদস্যদের মৃত্যু কামনা করছে কিছু বার্সা সমর্থক।

এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৩-২ গোলে জিতলেও দ্বিতীয় লেগে ৪-১ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয় স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার। বাজে এই হারে চলতি মৌসুমে কোন ট্রফি জয় প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ালো বার্সার জন্য। দলের এমন বাজে অবস্থায় সমর্থকদের রোষানলে পড়েছেন জোয়াও কানসেলো।

সমর্থকদের এই আচরণে অবশ্য বেশ হতাশ হয়েছেন এই ফুটবলার। ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কানসেলো হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আসলে লোকে তো অনেক ধরনের কথাই বলে। তবে ইনস্টাগ্রামে কিছু মন্তব্যে আমার যে মেয়ের এখনো জন্ম হয়নি তার মৃত্যুও কামনা করা হয়েছে, যা আমাকে কাঁদিয়েছে। আমার সঙ্গিনীর প্রতি, আমার মেয়ে, অনাগত সন্তান, সবার প্রতি আক্রোশ দেখায় তারা। অথচ তারা ভুলে যায় ফুটবল বাদেও দুনিয়াও আছে।

‘পৃথিবীটা আসলে খুবই নিষ্ঠুর এবং এটা মেনে নিয়েই চলা শিখতে হয় আমাদের। আমি জানি, কীভাবে চলতে হয়। তবে সত্যি বলতে, জানি না আর কী বলার আছে। একটা বাচ্চার মৃত্যু কামনা করা মানে ভয়ানক ব্যাপার। টিভিতে দেখা ফুটবলারের আড়ালে আমরা একজন মানুষ। আমরা সবাই তো একই।’-যোগ করেন কানসেলো।

কানসেলোর ওপর বার্সেলোনা সমর্থকদের অবশ্য আক্রোশের আলাদা কারণ আছে। দ্বিতীয় লেগে ওসমান ডেম্বেলেকে করা কান্সেলোর ফাউল থেকেই পেনাল্টি পেয়ে তৃতীয় গোলটি করে পিএসজি। যে কারণে বার্সেলোনার পরাজয়ের পর বিশ্লেষক ও সংবাদমাধ্যমের কাঠগড়ায় তোলা হয় এই ডিফেন্ডারকে।

তবে নিজের নামে সমালোচনা মেনে নিতে পারলেও পরিবারের কারো মৃত্যু কামনা করার মতো ব্যাপার মেনে নিতে পারছেন না ২৯ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ তারকা, ‘আমার পারফরম্যান্সের সমালোচনা যত ইচ্ছা করুন, সমস্যা নেই। কিন্তু দয়া করে পরিবারকে টানবেন না।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ২

গাজীপুরে ছাত্র ও পরিবহন শ্রমিকের মারামারি, বাস চলাচল বন্ধ

পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করলে প্রার্থীকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ ইসি রাশেদার

ইলিশের রোগমুক্ত থাকার রহস্য জানালেন গবেষকেরা

ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা

বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চাকরির সুযোগ, আবেদন করুন দ্রুত

ছাত্রীকে নিয়ে উধাও শিক্ষিকা

মোস্তাফিজকে কাজে লাগাতে পারবে তো বাংলাদেশ?

১০ টাকার টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

পুতিনের নতুন অস্ত্রে অসুস্থ হচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনারা

১০

মালয়েশিয়ায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এর বর্ণিল উদযাপন

১১

তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে এলে ঢাবিতে ক্লাসের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত 

১২

অ্যাকাউন্টস অফিসার নেবে আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশন

১৩

কাটা মাথাটি কেন ২০০ বছর ধরে সংরক্ষিত?

১৪

গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী

১৫

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা / স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩, তদন্তে ২ কমিটি

১৬

এবার স্কুলেও সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু করবে চীন

১৭

২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে নতুন ঘোষণা

১৮

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা, উদ্ধারকাজে বিজিবি

১৯

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ওদের

২০
*/ ?>
X