জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিলেন উরুগুয়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার এডিনসন কাভানি। লা সেলেস্তেদের হয়ে ২০১১ সালের কোপা আমেরিকা জেতা এই তারকা স্ট্রাইকার এবার কোপা শুরুর আগেই হঠাৎ করেই দল ছাড়ার ঘোষণা দিলেন ।
তার কাভানির এই অবসর ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া কোপার জন্য এখনও দল দেয়নি উরুগুয়ে। তবে ধারণা করা হচ্ছে উরুগুয়ের বর্তমান কোচ মার্সেলো বিয়েলসার অধীনে হয়তো এবারের আসরের স্কোয়াডে ডাক পাবেন না এই বর্ষীয়ান স্ট্রাইকার। সেজন্যই আগেভাগে নিজেকে দলের থেকে সরিয়ে নিলেন তিনি।
এর আগে সর্বশেষ ২০১১ সালে লাতিন আমেরিকার ফুটবল সেরা হওয়ার ট্রফি কোপা আমেরিকার ট্রফি ঘরে তুলেছিল উরুগুয়ে। সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন কাভানি। ফাইনাল সহ সেবার উরুগুয়ের হয়ে তিনটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন কাভানি। কোনো ম্যাচে গোল না পেলেও প্রত্যেকটা ম্যাচেই নিজের ইম্প্যাক্ট দারুণভাবে রেখেছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে নিজের ইন্সটাগ্রামে পোস্টের মাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেন কাভানি। সেখানে উরুগুয়ের সাথে নিজের পথচলাকে জীবনের সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি ইন্সটাগ্রামে করা পোস্টে বলেন, ‘আমি উরুগুয়ে দল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে সব সময় প্রিয় দলকে অনুসরণ করব, তখনো আমার হৃদয় কাঁপবে। এই সুন্দর জার্সিটি পরে মাঠে নামার সময় যেমন হতো।’
কাভানি ক্যারিয়ারের প্রায় পুরো সময়টাই পার করেছেন ইউরোপে। খেলেছেন নাপোলি, পিএসজি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবে। সেই ইউরোপের পাঠ চুকিয়ে এ বছরের জুলাই মাসে যোগ দিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে। আর্জেন্টিনার এই ক্লাবটার সাথে কাভানির চুক্তি শেষ হবে এবছরের ডিসেম্বরে।
জাতীয় দল ছেড়ে ক্লাব ফুটবলে আরও বেশি মনোযোগী হতে চান কাভানি ইন্সটাগ্রামে পোস্টে এমনটাই জানিয়েছেন।
‘নিঃসন্দেহে উরুগুয়ে দলের সঙ্গে কাটানো সেই বছরগুলো অনেক মূল্যবান ছিল। আমার বলার ও মনে রাখার মতো হাজার হাজার জিনিস থাকবে। তবে আজ (কাল) ক্যারিয়ারের নতুন পর্যায়ে নিজেকে সঁপে দিতে চাই এবং যেখানে আমাকে থাকতে হবে, সেখানেই সব উজাড় করে দিতে চাই।’
খেলার সময় মাঠে কাভানির মেজাজ সবসময়ই চড়া থাকতো। তাইতো সবাই তাকে ডাকতো ‘এল ম্যাাটাডোর’ নামে। ইন্সটাগ্রামের অবসরের সেই পোস্টে এই নামেই ফিফা কাভানিকে সম্বোধন করে শুভকামনাও জানিয়েছেন।
উরুগুয়ে জাতীয় দলে ২০০৮ সালে অভিষেক হয় কাভানির। দেশের জার্সিতে কাভানি খেলেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৬ ম্যাচ। জাতীয় দলে ৫৮ গোল করেছেন তিনি যা সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকাতেও দুই নম্বরে। এই ১৩৬ ম্যাচে কাভানির অ্যাসিস্ট রয়েছে ১৭টি।
মন্তব্য করুন