

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাস গড়েছিল মিয়ানমারে, আর নারী হকি দল নতুন অধ্যায় লিখেছিল চীনের দাহজুতে। একদিকে ফুটবলারদের অভূতপূর্ব এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠা, অন্যদিকে অনূর্ধ্ব–১৮ দলের প্রথম অংশগ্রহণেই ব্রোঞ্জ জয়—দুটি অর্জনই যেন নারীদের খেলাধুলায় বাংলাদেশের সম্ভাবনার প্রতীক। এবার এই দুই সাফল্যের স্বীকৃতি দিচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
এনএসসির পরিচালক (ক্রীড়া) আমিনুল এহসান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ২৩ জন খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফসহ মোট ৩১ জনকে দেওয়া হবে ৫০ লাখ টাকার আর্থিক পুরস্কার। পাশাপাশি নারী হকি দলের ১৮ জন খেলোয়াড় এবং কোচ-ম্যানেজার-ফিজিওসহ মোট ২১ জনকে দেওয়া হবে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে। পুরস্কার প্রদানের এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে।
গত জুলাইয়ে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত এএফসি নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে স্বাগতিকদেরই মাঠে ২–১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চূড়ান্ত পর্বে ওঠে বাংলাদেশ। এটি দেশের নারী ফুটবলের জন্য ছিল ঐতিহাসিক মুহূর্ত। একই সময়ে চীনের দাহজুতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব–১৮ এশিয়া কাপে নারী হকি দল প্রথমবার অংশ নিয়েই জিতে নেয় ব্রোঞ্জ পদক—কাজাখস্তানকে ৬–২ গোলে হারিয়ে।
এই দুটি অর্জনই দেশের নারী ক্রীড়াঙ্গনে নতুন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। নারী ফুটবলাররা এখন বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, আর হকি দলটির জন্যও এনএসসির এই পুরস্কার একরকম উৎসাহ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন কোচরা।
একই মঞ্চে ফুটবল ও হকিতে নারীদের এমন সাফল্য প্রমাণ করে, সুযোগ পেলে বাংলাদেশি মেয়েরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিজেদের যোগ্যতার ছাপ রাখতেই পারে—প্রয়োজন কেবল নিয়মিত সহায়তা ও ধারাবাহিক পৃষ্ঠপোষকতার।
মন্তব্য করুন