

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে। গ্যালারিতে উপচে পড়া দর্শকরা যেন ক্রিকেট উৎসবেই মেতেছিলেন। কিন্তু আলোকস্বল্পতার কারণে ম্যাচটি যখন ৪ ওভার বাকি থাকতে থেমে যায়, তখনো তাঁদের হাতে ছিল মোবাইলের টর্চলাইট—আলো জ্বেলে যেন জানান দিচ্ছিলেন, এত সহজে ক্রিকেটের আনন্দ থামতে দেবে না উত্তরবঙ্গ।
শেষ পর্যন্ত ডাকওয়ার্থ–লুইস–স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে ৫ রানে হারিয়ে সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। শুক্রবার একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৫ রান তোলে আফগান যুবারা। তাঁদের ইনিংসের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন ওপেনার উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই। ১৩৭ বলে অপরাজিত ১৪০ রানের ইনিংসে তিনি মারেন ১৬ চার ও ১ ছক্কা। আফগান ইনিংসে একাই দলের অর্ধেকেরও বেশি রান করেন উজাইর।
তবে বাংলাদেশের পেসার ইকবাল হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে শেষদিকে রান তুলতে পারেনি সফরকারীরা। ৫৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইকবাল, যা তাঁর যুব ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ান কালাম সিদ্দিকী ও রিজান হোসেন। চতুর্থ উইকেটে ১৩৯ রানের জুটিতে দলকে ম্যাচে ফেরান তাঁরা। কালাম তুলে নেন যুব ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি—১১ চারে ১১৯ বলে ১০১ রান করে ফিরেন তিনি। অপর প্রান্তে অপরাজিত ছিলেন রিজান ৭৫ রানে।
শেষ ৪ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৩৫ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু তখনই আলোকস্বল্পতা ম্যাচ থামিয়ে দেয়। খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ডিএলএস পদ্ধতিতে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ, ফলে তারাই জয় পায় এবং সিরিজে এগিয়ে যায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব–১৯: ৫০ ওভারে ২৬৫/৯ (উজাইরউল্লাহ ১৪০*, খালিদ ৩৪; ইকবাল ৫/৫৭)।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯: ৪৬ ওভারে ২৩১/৪ (কালাম ১০১, রিজান ৭৫*, রিফাত ২৬)।
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ জয়ী ৫ রানে (ডিএলএস)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কালাম সিদ্দিকী (বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯)।
মন্তব্য করুন