আন্তর্জাতিক ইভেন্টে শৃঙ্খলার বেড়াজাল থাকে, আয়োজক দেশ ইরান হলে সেটা আরও বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবাধে বিচরণ করা যায় না। ঢাকায় পা রেখেই ফেসবুকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন এশিয়ান ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপে রুপা জয়ী জহির রায়হান।
বাঙালি যে বীরের জাতি সেটা নিজের ফেসবুক পেজে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ স্প্রিন্টার। মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় পা রাখার পর জহির রায়হান লিখেছেন, ‘আমার শরীরে বাংলাদেশের রক্ত। ডাল ভাত খেয়েও যুদ্ধ করতে পারি।’
রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পা রাখার পর নৌবাহিনীতে নিজের জন্য নির্ধারিত আবাসনে গিয়ে ওঠেন জহির। ঢাকা আসার পর ২২ বছর বয়সী এ স্প্রিন্টার কালবেলাকে বলেছেন, ‘জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে আরও ভালো করার লক্ষ্য ছিল, প্রত্যাশা ছিল রেকর্ডটা নতুন করে লেখাতে পারব। সেটা করতে না পারার পর কষ্ট পেয়েছি। তারপর থেকে এশিয়ান ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো কিছু করার জেদ ছিল।’
তেহরানের আফতাব এনঘেলাব স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রুপা জয়ের পথে ৪৮.১০ সেকেন্ড সময় নিয়েছে জহির রায়হান। হিটে ৪৮.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম হয়েছিলেন তিনি। আসরের ছেলেদের হাই জাম্পে ব্রোঞ্জ জিতেছেন বাংলাদেশের আরেক অ্যাথলেট মাহফুজুর রহমান। জহির রায়হানের নৌবাহিনীর সতীর্থ ২.১৫ মিটার অতিক্রম করে এবারের আসর থেকে দেশকে দ্বিতীয় পদক এনে দেন।
গেমসের আগে পাদপ্রদীপের আলোয় ছিলেন ইমরানুর রহমান। লন্ডন প্রবাসী স্প্রিন্টার আসর শুরু করেছিলেন ৬০ মিটারের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। তেহরানে অবশ্য মুকুট ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হয়ে খেলা ৩০ বছর বয়সী ইমরানুর রহমান। প্রাথমিক হিট ও সেমিফাইনালে তার টাইমিং প্রত্যাশিত না হলেও ফাইনাল ঘিরে অ্যাথলেটিকস সংশ্লিষ্টদের কৌতূহল ছিল। শেষপর্যন্ত চতুর্থ হয়েছেন গেল বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাজাখিস্তান স্বর্ণজয়ী এ স্প্রিন্টার। মুকুট হাতছাড়া হওয়ার পর প্রস্তুতির ঘাটতির কথা বলেছেন ইমরানুর। সে সঙ্গে শক্তভাবে ফিরে আসার প্রত্যয়ও ছিল এ স্প্রিন্টারের কণ্ঠে।
মন্তব্য করুন