এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসে ৬০ মিটার স্প্রিন্টে নানামুখী চাপ নিয়ে ফাইনাল খেলতে নামবেন ইমরানুর রহমান। গত বছরের স্বর্ণ জয়ীর সামনে মুকুট ধরে রাখার মিশন; এ কারণে পাদপ্রদীপের আলোয় ইমরানুর রহমান।
লন্ডন প্রবাসী অ্যাথলেটকে ট্র্যাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ওমান ও জাপানের দুই স্প্রিন্টার। হিটের পর সেমিফাইনালেও ইমরানুরের চেয়ে ভাল টাইমিং করেছেন দেশ দুটির প্রতিনিধিরা। এদিকে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে জহির রায়হানের রুপা জয়ের বিষয়টি প্রত্যাশার অদৃশ্য চাপ তৈরি করেছে ৩০ বছর বয়সী স্প্রিন্টারের ওপর।
ইরানের তেহরানে রোববার সন্ধ্যায় প্রাথমিক হিটে ৬.৬২ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে আসেন দেশের দ্রুততম মানব। হিটে ইমরানুরের চেয়ে ভাল টাইমিং করেছিলেন তিনজন— ওমানের আনোয়ার আলী (৬.৫৬), উত্তর কোরিয়ার জু কুম রায়োং (৬.৬০) এবং জাপানের শুহেই তাদা (৬.৬০)। সেমিফাইনালে আনোয়ার আলী (৬.৫০) ও শুহেই তাদা (৬.৫৩) ইমরানুরের (৬.৬০) চেয়ে ভাল টাইমিং করেছেন।
ফাইনালে নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে হলে হিট ও সেমিফাইনালের চেয়ে ভাল টাইমিং করতে হবে। ৬০ মিটারে দশমিক ১০ সেকেন্ডের ব্যবধান আদৌ ঘোচানো সম্ভব— কি না সেটা আজই জানা যাবে। গেল ফেব্রুয়ারিতে এশিয়া সেরা হওয়ার পথে ইমরানুরের সময় লেগেছিল ৬.৫৯ সেকেন্ড। এবার তার চেয়ে ভাল করার চ্যালেঞ্জ।
জহির রায়হানের রুপা জয়ের বিষয়ও অদৃশ্য চাপ তৈরী করেছে। কারণ বছর জুড়ে নিজস্ব প্রচেষ্টায় একাই অনুশীলন করে এসেছেন নৌবাহিনীর স্প্রিন্টার জহির রায়হান। বিপরীতে ইমরানুর রহমান বরাবরই বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সহায়তা নিয়ে লন্ডনে উন্নত-সুযোগ-সুবিধায় অনুশীলন করেন।
‘জহির রায়হানরা তেমন সহায়তা পেলে আরও আগে বড় সাফল্য পেতেন, দেশকে বড় সাফল্য এনে দিতে পারতেন’— অ্যাথলেটিকস সংশ্লিষ্টরা এমনটা বলে আসলেও ফেডারেশন কর্মকর্তারা খুব একটা পাত্তা দিতেন না।
ইমরানুর রহমান ভাল করতে না পারলে জহির রায়হানদের অবহেলার বিষয়টি সামনে উঠে আসবে। মুখ লুকানোর জায়গা খুঁজতে হবে প্রবাসী অ্যাথলেটদের মাধ্যমে শর্টকাট সাফল্যর জন্য স্থানীয়দের অবহেলা করা কর্তাদের। ফাইনালে পারবেন তো ইমরানুর, মুখরক্ষা হবে তো অ্যাথলেটিকস কর্মকর্তাদের!
মন্তব্য করুন