অ্যাডোব আফটার ইফেক্টসে ফিল্ম মেকিং, ভিডিও গেম এবং টেলিভিশন পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজে বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় একটি অ্যাপ্লিকেশন। যারা অ্যানিমেশন এবং মোশন গ্রাফিকসের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তারা কিইং (Keying), ট্র্যাকিং, কম্পোজিশন ইত্যাদি কাজে Adobe After Effects ব্যবহার করে থাকেন।
After Effects-এ আমরা যখন কোনো কাজ সম্পন্ন করি, তখন প্রায়ই আমরা একটা টার্ম ব্যবহার করে থাকি, তা হলো Rendering (রেন্ডারিং)। সহজ ভাষায়, After Effects-এ করা কম্পোজিশনের Output বের করাই রেন্ডারিং। মূল কম্পোজিশন থেকে একটা মুভি ফাইলের ফ্রেম বের করে আনাটাই এর মূল উদ্দেশ্য। কম্পোজিশনে বিদ্যমান সব লেয়ার, সেটিংস এবং সাব-কম্পোজিশন থেকে Two Dimentional ইমেজ ফাইল এবং অন্যান্য তথ্য বের করা হয় এ প্রক্রিয়ায়।
রেন্ডারিং সম্পন্ন করার কিছু উপায় আছে। এর একটি হলো GPU Acceleration। যার সাহায্যে খুব অল্প সময়ে এবং নির্ভুলভাবে রেন্ডারিং করা যায়। GPU হলো Graphics Processing Unit যা গ্রাফিকস রেন্ডারিংয়ের জন্য কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়। অনেকে এটাকে গ্রাফিকস কার্ড বললেও আদতে দুটি এক নয়।
After Effects-এ রেন্ডারিং করার সময় তাই সফটওয়্যারটি আপনাকে দুটি অপশন দেবে।
১. মারকিউরি সফটওয়্যারের মাধ্যমে রেন্ডারিং; যা সম্পূর্ণ আপনার CPU-কে প্রেশারাইজ করবে।
২. মারকিউরি জিপিউ এক্সিলারেশন; যা GPU-এর মাধ্যমে রেন্ডার করবে।
স্বাভাবিকভাবেই অনেকে জিপিউ এক্সিলারেশন বাছাই করে। কারণ বিশাল একটা কমপ্লেক্স ফাইলের প্রেশার CPU-এর ওপর দিলে, CPU অতি দ্রুত তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলতে পারে।
পুরো কম্পোজিশন তৈরি হয়ে গেলে Render Queue অপশনে গিয়ে হাইকোয়ালিটি .MOV ফরম্যাটে রেন্ডার করুন। প্রাথমিকভাবে রেন্ডারকৃত ফাইলের সাইজ অনেক বড় হবে। তখন এটিকে Premiere Pro/Media Encoder-এ ইম্পোর্ট করে .MP4 ফরম্যাটে পুনরায় কনভার্ট করে দিলে ফাইলটি তার Resolution বজায় রেখে ছোট সাইজে Convert হবে। এটিই অ্যানিমেশন, মোশন গ্রাফিকস ইত্যাদি ফাইল Export করার সহজ প্রক্রিয়া।
দাঊদ আরমান, ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার
মন্তব্য করুন