কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৪, ০২:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মোবাইলে অব্যবহৃত ইন্টারনেট প্যাকেজ সম্পর্কে যা জানা গেল

মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজ। ছবি : সংগৃহীত
মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজ। ছবি : সংগৃহীত

গত এক সাপ্তাহ ধরে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় যারা সপ্তাহ মেয়াদি ইন্টারনেট ডেটা কিনেছিলেন তার মাত্র এক দিনের মাথায় ওই মোবাইলের ডেটা ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে যাদের ডেটার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এখন ওই অব্যবহৃত ডেটার কী হবে সেই প্রশ্ন ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহারকারী অনেক গ্রাহকের মধ্যে।

রাজধানী ওয়ারী এলাকার বাসিন্দা তৌফিক আহমেদ বলেন, আমার মোবাইলে এখনো ৩৪৩৪ এমবি ডেটা অবশিষ্ট রয়েছে, যার মেয়াদ শেষ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এ সময়ের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট চালু না হলে সে ডেটাও থাকবে অব্যবহৃত। আবার চালু হলেও স্বল্প সময়ে এত ডেটা ব্যবহারও সম্ভব নয়। যদিও দুই-এক দিনের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সম্ভাবনা নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তৌফিক আহমেদের মতো দেশের কয়েককোটি গ্রাহকের মনে প্রশ্ন তাদের মোবাইল ইন্টারনেটে অব্যবহৃত ডেটার সমাধান কী হবে?

এ ব্যাপারে সাবেক ডাক ও টেলিযোযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার কালবেলাকে বলেন, ‘যাদের মোবাইল ডেটা ইন্টারনেট অব্যবহৃত রয়েগেছে তাদের জন্য ডেটা ইন্টারনেট চালু হলে তার সমাধান করা হবে। তবে এব্যাপারে অবশ্যই গ্রাহকের সুবিধাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গ্রাহক এবং ডেটা অপারেটরদের সাথে সমন্বয় করে বিষয়টিকে সমাধান করা হবে বলে তিনি জানান।’

এদিকে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কলেজ এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেটের ফোরজি সেবা সীমিত করা হয়। পরদিন ১৭ জুলাই থেকে সারা দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট সেবা। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসির নির্দেশে অপারেটররা এপদক্ষেপ নেয়।

সারা দেশে বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ৭, ১০, ১৫ এবং ৩০ দিন মেয়াদের পাশাপাশি আনলিমিটেড ডেটা কেনার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে আনলিমিটেড ডেটা কেনার গ্রাহক খুবই কম। সবচেয়ে বেশি ডেটা কেনা হয় সাপ্তাহিক তথা সাত দিন মেয়াদি। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষরা এক সাপ্তাহ মেয়াদি এ ডেটা কিনে থাকেন। মোবাইলে ডেটার মেয়াদ থাকার পরও মেয়াদ শেষ হলে তা আর ব্যবহার করা যায় না। যার ফলে মোবাইলে ডেটা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকরা পড়েছেন বিপাকে।

উল্লেখ্য, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।

এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। ঢাবি ছাড়াও বিক্ষোভ হয় জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কলেজ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সহিংসতার আহ্বান জানিয়ে দেওয়া পোস্ট করলে যেভাবে রিপোর্ট

আনিসুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর

সরকারের একাংশের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া দুই পত্রিকায় হামলা সম্ভব নয় : নাহিদ

নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান হাবিবের

ভারতের বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে চীনের মামলা

হেসে খেলে প্রোটিয়াদের হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল ভারত

বন্ধুত্বের খেলায় আইনি নোটিশ, বয়কট

ভারত ও আ.লীগকে নিয়ে যা বললেন হাদির বোন মাসুমা

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না ভারত

হাদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে চিকিৎসককে অব্যাহতি

১০

আবারও এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

১১

ভারত ম্যাচে জয়ের পর যে কারণে শাস্তির মুখে পড়ল বাফুফে

১২

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগ, বিএনপির প্রতিক্রিয়া

১৩

জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে আসছেন নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

১৪

কৃষকের ৩০ শতাংশ আলুগাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা

১৫

জমি নিয়ে বিরোধে একজন গুলিবিদ্ধ

১৬

হাসিনাকে আশ্রয় মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, জানাল ভারত

১৭

শিশুর কাঁন্নায় বেঁচে গেল মায়ের জীবন

১৮

হাদি হত্যায় সরকারকে দুষলেন রুমিন ফারহানা

১৯

৪২২ চোরাই মোবাইল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

২০
X