

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি হত্যায় সরকারকে দুষলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, এর দায় সরকারকে নিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রার্থী, ভোটার ও মাঠকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিটঘর বাজার বালুর মাঠে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পানিশ্বর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা করা হয়।
এ সময় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, সরকার বলছে– ২০২৬ সালে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো নির্বাচন উপহার দেবে। আমরাও সেই কথায় আস্থা রাখতে চাই। কিন্তু এর মধ্যেই আমাদের ভাই হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও কর্মীদের মধ্যে ভয় তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শোনা যাচ্ছে ৫০-৬০ জন এমপির একটি তালিকা করা হয়েছে, যাদের ওপর হামলা চালিয়ে নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে। হায়াত-মওতের মালিক আল্লাহ– এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তাই বলে সরকার তার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। ওসমান হাদির মৃত্যুর দায় সরকারকে নিতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে ঢাকা শহরসহ দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এর দায় বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে কার কার কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে তা খুঁজে বের করুন। আপনাদের পুলিশ আছে, প্রশাসন আছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। ৫ আগস্টের পর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র যদি কারো কাছে পাওয়া যায়, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।
রুমিন ফারহানা স্পষ্ট করে বলেন, ২০২৬ সালের নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবে, যারা ভোটার এবং যারা প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবে–প্রত্যেক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।
ভোটারদের উদ্দেশ করে রুমিন বলেন, আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন, ইনশাআল্লাহ মার্কা যাই হোক– আমি সরাইল ও আশুগঞ্জে নির্বাচন করব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ দানা মিয়া সর্দার।
মন্তব্য করুন