অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে হাঁটুপানিতে চলছে পাঠদান। স্কুলের শৌচাগার পানিতে ডুবে থাকায় ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। জল যন্ত্রণায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। জলাবদ্ধতার নোংরা পানিতে ভিজে শিশুরা পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সাতক্ষীরার আশাশুনির গজুয়াকাটি সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের বর্তমান চিত্র এটি। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়াসহ নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অভিভাবক।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রেখা রানী জানান, ২০১৫ সালে স্কুলের জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর ইটের দেওয়াল ও টিনের ছাউনিযুক্ত সেমি পাকা ঘরে শ্রেণি কার্যক্রম ও অফিস চলছে। আজও নতুন ভবনের বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। গরমের সময় টিনের চালে অতিরিক্ত গরমের পর এবার বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টিতে স্কুল এলাকায় পানি থই থই করছে। শ্রেণিকক্ষেও হাঁটুপানি। স্কুলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বেঞ্চের ওপর রাখা হয়েছে। বাচ্চাদের নিয়ে পাঠদান নিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছি। ৫৩ নিয়মিত শিক্ষার্থী অথৈ পানিতে ভিজে কোনো রকমে স্কুলে আসে।
তিনি আরও জানান, আমরা ৪ শিক্ষক জলকাদায় নাকানিচোবানি খেয়ে নিয়মিত স্কুলের পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গজুয়াকাটি ও বড়দল ইউনিয়নের পাঁচ পোতা থেকে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে শিশুরা এ স্কুলে আসে। চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে সব পথঘাট তলিয়ে গেছে। শিশুরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসছে, তাই অভিভাবক ও আমরা সবসময়ই উদ্বিগ্ন থাকি।
অভিভাবক রাহুল দেব মণ্ডল জানান, খাজরা ইউনিয়নের সবচেয়ে চাকরিজীবী বসবাস করে গজুয়াকাটি গ্রামে। অথচ গ্রামটি শিক্ষা, যোগাযোগ ও স্বাস্থ্য খাতে চরম অবহেলার শিকার। চারদিকের অথৈ জলে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে সাহস পাই না। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি। সাথে সাথে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করাসহ ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠটির নতুন ভবন নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
মন্তব্য করুন