ঢাকার কেরানীগঞ্জে সিএনজি ও বাসচালকদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো এক বিশেষ অভিযানে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ওই চক্রের পাঁচ সদস্য।
বুধবার (১৬ জুলাই) হযরতপুর, শাক্তা ও রুহিতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযানে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের হাতে হাতেনাতে ধরা পড়ে তারা।
বিকেলে থানার মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রমজান আলী (৩৫), নিস্তার আহমেদ রউফ (৫৭), মো. আমজাত হোসেন (৩৫), মো. রাশেদ (৩৪) ও মো. নাহিদ হোসেন (২৪)।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরেই কেরানীগঞ্জ এলাকার সিএনজি ও বাসচালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছিলেন। এ সময় চালকদের ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া এবং গাড়ি চলাচলে বাধা দেওয়া ছিল তাদের নিয়মিত কৌশল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। চাঁদাবাজি একটি জঘন্য অপরাধ। এসব অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে চাঁদা আদায়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। যারা এ ধরনের অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের অভিযান চলবে।
স্থানীয় বাস ও সিএনজিচালকরা পুলিশের এ সাহসী অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা অনেক দিন ধরে এদের দ্বারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। চাঁদা না দিলে গালি, হুমকি এমনকি গাড়ি চলাচলে বাধা দিত। পুলিশ অবশেষে সাহসিকতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
কেরানীগঞ্জে পুলিশের এ দ্রুত ও কার্যকর অভিযানে স্থানীয় পরিবহন খাতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা শুধু আজকের অভিযান নয়, ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং কেরানীগঞ্জ হবে একটি নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত অঞ্চল।
মন্তব্য করুন