‘যুদ্ধ নয়, শান্তি ও দেশ গড়ার আহ্বান জানাতে গোপালগঞ্জ এসেছি’ বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, মুজিববাদ ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে এ জেলাকে মুক্ত করতে হবে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে শহরের পৌরপার্ক এলাকার সমাবেশ মঞ্চে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, যারা গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে রয়েছেন, নতুন বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছেন আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে। এই গোপালগঞ্জ যেন মুজিববাদীদের আশ্রয়কেন্দ্র না হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, যদি আজকে বাধা দেওয়া না হতো তাহলে গোপালগঞ্জের সাধারণ জনতা এখানে লোকে লোকারণ্য হতো। আমরা এখানে গোপালগঞ্জের নাম বদলাতে আসিনি। আমরা এসেছি শান্তি এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ নয়, শান্তি ও দেশ গড়ার আহ্বান জানাতে গোপালগঞ্জ এসেছি। মুজিববাদ ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে এ জেলাকে মুক্ত করতে হবে।
সমাবেশে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলা করে হিংস্র সন্ত্রাসীরা আমাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে তওবা করার সুযোগ দিয়েছে। জনগণের জীবন বিপন্ন করতে চাইলে মানুষ ছেড়ে দিবে না। তিনি বলেন, মুজিবাদ ও মুজিববাদী সংবিধান দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। তাই মুজিববাদীর সংবিধানের কবর রচনা করতে হবে।
এর আগে, দুপুর ২টার দিকে গোপালগঞ্জের সমাবেশে পৌঁছান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা।
সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে তাদের স্বাগত জানান দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এদিন দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জে এনসিপি সমাবেশস্থলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন সমাবেশে উপস্থিত থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, তারা মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করেছে এনসিপি। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাসব্যাপী এ আয়োজনের অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করে দলটি। আজকের পদযাত্রার নাম দেওয়া হয়- ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’।
মন্তব্য করুন