কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৮ এএম
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৪০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

নাইজারে জিম্মি ফরাসি রাষ্ট্রদূত

ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তে। ছবি : সংগৃহীত
ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তে। ছবি : সংগৃহীত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ও অন্য কূটনীতিকদের নিয়ামির দূতাবাসে এক অর্থে জিম্মি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের কোট দি’অর অঞ্চল পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাখোঁ বলেছেন, নিয়ামির ফরাসি দূতাবাসে খাদ্য সরবরাহে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত সেনাদের রেশন খেয়ে বেঁচে আছেন।

গত জুলাই মাসের সেনা অভ্যুত্থানে পর থেকে নাইজারের জান্তা সরকারের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরপরই ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তেকে নাইজার ছাড়ার নির্দেশ দেয় জান্তা সরকার। এরপর তার ভিসা প্রত্যাহার করে তাকে বহিষ্কার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে জান্তা সরকারের এমন পদক্ষেপের পরও এখনো নাইজারে আছেন রাষ্ট্রদূত ইত্তে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, রাষ্ট্রদূত ইত্তেকে দূতাবাসে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাকে পারসোনা নন গ্রেটা (অবাঞ্ছিত) ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে খাবার দেওয়া হচ্ছে না।

রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা জানতে চাইলে মাখোঁ নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের এখতিয়ারের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাজুমের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর আমি এ বিষয়ে কিছু করব। তিনিই বৈধ প্রেসিডেন্ট। তার সঙ্গে প্রতিদিনই আমার কথা হয়।

এর আগে এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা বলেছিলেন, রাষ্ট্রদূত ইত্তে এখনো কাজ করছেন। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি তিনি তার যোগাযোগ ও টিমের মাধ্যমে খুব কার্যকরী। তার সঙ্গে এখনো ছোট একটা দল আছে। আমরা যতদিন চাইব তিনি সেখানে অবস্থান করবেন এবং তার দেশে ফিরে আসা নিয়ে প্রেসিডেন্ট মাখোঁ সিদ্ধান্ত নেবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জোতার মৃত্যু মানতে পারছেন না রোনালদো

পরীক্ষার প্রশ্নে— ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি, অতঃপর...

‘জুলাই ঘোষণাপত্র কারও বাপের সম্পত্তি না’

জোতার মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সম্পর্কে যা জানা গেল

বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনে ঐকমত্য হয়েছে : আলী রীয়াজ

ইসরায়েলকে আরও কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারি ইরানের

রাশিয়ার শীর্ষ জেনারেল নিহত

রবীন্দ্রনাথ-নজরুল ছিলেন জীবনঘনিষ্ঠ কবি : শিক্ষা উপদেষ্টা 

বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ চায় গণঅধিকার পরিষদ : শাকিল

সবুজ অর্থায়নের কৌশলগত বিশ্লেষণ / বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও সুযোগ

১০

সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পিএস গ্রেপ্তার

১১

জুলাই সনদ নিয়ে ছাত্রনেতাদের আক্ষেপ

১২

পুলিশ প্রশাসন সংস্কারে সব ছাত্র-সংগঠনের আন্দোলন এক ব্যানারে

১৩

তুচ্ছ ঘটনায় এভাবেও তিনজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায়?

১৪

যে কুখ্যাত কারাগারে নির্যাতন করা হয়েছিল খামেনিকে

১৫

নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর গুলি চালাল ইরানের বাহিনী

১৬

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের অনুমোদন

১৭

গণঅভ্যুত্থানের মতো সংসদেও আমাদের বিজয় হবে : নাহিদ ইসলাম 

১৮

আটক ৫২ জন জীবিত না মৃত, আইআরজিসির লুকোচুরি

১৯

সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারালেন সংবাদ পাঠিকা

২০
X