১৫ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। তবে শেষ পর্যন্ত দেশে ফেরা আপাতত স্থগিতের কথা জানিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার (৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত মে মাসে থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সামরিক বাহিনীবিরোধী দল জয়ী হলে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। এই সংকটের মধ্যে আগামী ১০ আগস্ট বিমানে করে থাকসিন দেশে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন তার মেয়ে পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা।
৭৪ বছর বয়সী থাকসিন থাইল্যান্ডের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী। তবে ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। দুর্নীতির দায়ে সাজা এড়াতে ২০০৮ সালে থাইল্যান্ড থেকে পালিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই চলে যান তিনি। এরপর থেকে তিনি দুবাইয়ে বসবাস করছেন।
আরও পড়ুন : নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফিরছেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
শনিবার এক টুইটবার্তায় থাকসিন জানান, তার মেডিকেল চেকআপ করাতে হবে। এ জন্য দেশে ফেরা কয়েক সপ্তাহ বিলম্ব করছেন।
এতদিন নির্বাসনে থাকার পরও থাইল্যান্ডের শ্রমিক ও গ্রামের মানুষের মাঝে থাকসিন ও তার ফেউ থাই পার্টি বেশ জনপ্রিয়। এমনকি গত ১৪ মের সাধারণ নির্বাচনের ভোটে তার দল দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দেশটির সেনা নিয়ন্ত্রিত সিনেট নির্বাচনে বিজয়ীদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার পথ বন্ধ করে দেওয়ায় ফেউ থাই পার্টি সরকার গঠনে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
এ জন্য চলতি সপ্তাহের শুরুতে রিয়েল এস্টেট ম্যাগনেট স্রেথা থাভিসিনকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে থাকসিসের দল ফেউ থাই পার্টি। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার পার্লামেন্টে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্বাচনে বিজয়ী দলের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নিয়ে আদালতে সাংবিধানিক পর্যালোচনা থাকায় এ ভোট স্থগিত করা হয়। আগামী ১৬ আগস্ট এ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন