১৫ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফিরছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। আগামী ১০ আগস্ট বিমানে করে তিনি দেশে আসবেন বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা।
গত মে মাসে থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে থাকসিন দেশে আসবেন বলে ঘোষণা দিলেন পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা।
৭৪ বছর বয়সী থাকসিন থাইল্যান্ডের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী। তবে ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর দুর্নীতির দায়ে সাজা এড়াতে ২০০৮ সালে থাইল্যান্ড থেকে পালিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই চলে যান তিনি। এরপর থেকে তিনি দুবাইয়ে বসবাস করছেন।
থাকসিনের মেয়ে পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা আজ বুধবার (২৬ জুলাই) ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি যা লিখতে যাচ্ছি তা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। বাবা আগামী ১০ আগস্ট ডন মুয়াং বিমানবন্দরে ফিরে আসছেন।’
আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কাকে উপহার দেওয়া হাতি ফেরত নিল থাইল্যান্ড
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের সব সদস্য খুশি হওয়ার পাশাপাশি চিন্তিতও। তবে আমরা বাবার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।’
এতদিন নির্বাসনে থাকার পরও থাইল্যান্ডের শ্রমিক ও গ্রামের মানুষের মাঝে থাকসিন ও তার ফেউ থাই পার্টি বেশ জনপ্রিয়। এমনকি গত ১৪ মের সাধারণ নির্বাচনের ভোটে তার দল দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দেশটির সেনা নিয়ন্ত্রিত সিনেট নির্বাচনে বিজয়ীদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার পথ বন্ধ করে দেওয়ায় ফেউ থাই পার্টি সরকার গঠনে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
এদিকে থাকসিনের দেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে থাইল্যান্ডের ডেপুটি ন্যাশনাল পুলিশপ্রধান সুরাচাতে হাকপার্ন বলেন, থাকসিন দেশে ফিরলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, বিমান অবতরণ করলে পুলিশ তার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। তাকে আদালতে হাজির করা হবে। আদালত যে রায় দেবে তা তাকে মেনে নিতে হবে।
একাধিক মামলায় থাকসিনকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। তবে এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন