ইরাকের দিয়ালা প্রদেশের মানদালি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে প্রায় ৪০০ গাজেলের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও তদন্ত। তবে এই বিপর্যয়ের দায় অস্বীকার করেছে দিয়ালার কৃষি বিভাগ। তাদের দাবি, ২০১৯ সালেই এই সংরক্ষিত অঞ্চল বন ও মরুকরণ অধিদপ্তরের অধীনে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
রবিবার শাফাক নিউজকে মানদালি জেলার প্রশাসক আলি ধামাদ আল-জুহাইরি জানান, এত বিপুলসংখ্যক গাজেলের একসঙ্গে হারিয়ে যাওয়া অনাহারের কারণে নয়, বরং চুরি বা পাচারের সম্ভাবনাই বেশি। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করেছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। যারা দায়ী, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসনের আশঙ্কা, এটি পরিকল্পিত চোরাচালান চক্রের কাজ হতে পারে। সম্প্রতি সংরক্ষিত এলাকা থেকে বন্যপ্রাণী পাচার ইরাকে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
গাজেল নিখোঁজ হওয়ার এ ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। ২০০৩ সালের যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের পর থেকে আল-আনবার মরুভূমি, আল-মুথান্না স্টেপ ও দিয়ালার বনাঞ্চলে এই প্রজাতির ওপর শিকার ও হত্যা বেড়েই চলেছে। ফলে গাজেল এখন বিলুপ্তির মুখে।
এর আগে আল-মুথান্না প্রদেশের সাওয়া সংরক্ষণ কেন্দ্রে অনাহারে আক্রান্ত গাজেলদের কিছু অংশ বিক্রি করে বাকি পশুদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, মানদালির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষণ কেন্দ্রে এত বড় প্রাণীসংকট শুধু অবহেলার ফল। দায় এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা, দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও প্রাণী পাচারের বিরুদ্ধে দুর্বল নজরদারি এই সংকটকে আরও গভীর করছে।
তাদের মতে, দ্রুত তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে শুধু মানদালি নয়, বরং ইরাকের গোটা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে।
গাজেল হলো হরিণের একটি বিশেষ প্রজাতি, যা গাজেলাদের অন্তর্ভুক্ত।
মন্তব্য করুন