এবার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির মিনাহাসা উপদ্বীপে এ ভূমিকম্প হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্স (জিএফজেড) এ ভূমিকম্পের তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইন্দোনেশিয়ার এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯ মাত্রা। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত করেছে।
জিএফজেড জানিয়েছে, শনিবারের এ ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইন্দোনেশিয়ার জিওফিজিক এজেন্সি জানিয়েছে, এ ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই। এ অঞ্চলে এর আগে ২০১৮ সালে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। এ সময়ে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
এর আগে শুক্রবার মরক্কোয় ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। এতে সহস্রাধিক লোক নিহত এবং শত শত লোক আহত হন। মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মরক্কোর এ ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৭ জনে। এ ভূমিকম্পে দেশটির পাহাড়ি অঞ্চলের মধ্যে মারাখোসে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। দেশটি গত ছয় দশকের মধ্যে এমন ভয়াবহতার মুখোমুখি হয়নি।
রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে মারাখোস অঞ্চলের ঐতিহাসিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি আমিজমিজ গ্রামে উদ্ধারকারীরা এখনো দেয়াল ও পাথর সরিয়ে মরদেহ উদ্ধার করছেন। তবে পাহাড়ি এলাকায় নাজুক রাস্তার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, গতকালের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেডিনের স্কি রিসোর্টের কাছে। এ জায়গাটি দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর মারাকেশ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের কারণে দেয়াল ধসে গেছে। এখানে-সেখানে ধ্বংসস্তূপ সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্কিত জনসাধারণ বাড়ি থেকে বের হতে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছেন। কেউ কেউ সড়কে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।
মন্তব্য করুন