যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন করে চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকিকে ডাবল স্টান্ডার্ড বা দ্বৈত মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছে চীন। বেইজিং প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমরা বাণিজ্যযুদ্ধ চাই না, তবে ভয়ও পাই না। যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে এগোচ্ছে।
এর আগে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, চীন বিরল খনিজ রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে বিশ্ববাজারে চাপ তৈরি করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন আচরণ করছে। তিনি এমনকি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিলেরও ইঙ্গিত দেন।
তবে পরে এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, চীন নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক হয়ে যাবে! প্রেসিডেন্ট শি ভালো মানুষ—তিনি মন্দা চান না, আমিও না। যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি করতে নয়।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধস নামে। শুক্রবার এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ২.৭ শতাংশ কমে যায়, যা গত এপ্রিলের পর সবচেয়ে বড় পতন।
চীন জানায়, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের অপব্যবহার করছে এবং চীনের ওপর বৈষম্যমূলক নীতি চাপিয়ে দিচ্ছে। মুখপাত্র বলেন, শুল্ক হুমকি কোনো সমস্যার সমাধান নয়, বরং সম্পর্কের ক্ষতি করে।
সম্প্রতি চীন বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এসব উপকরণ মোবাইল, সৌর প্যানেল ও উন্নত প্রযুক্তির পণ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সাম্প্রতিক এই বক্তব্য আসন্ন বাণিজ্য আলোচনার আগে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার কৌশল হতে পারে।
এ মাসের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বর্তমান উত্তেজনার কারণে বৈঠকটি হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
মন্তব্য করুন