দেশের অনলাইন জুয়া চক্রের অন্যতম শীর্ষ এজেন্ট মুর্শিদ আলম লিপু ও তার সহযোগী মুছাঈদ আলম ক্যামেলকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি থানায় দায়ের হওয়া আরও ৩টি মামলায় তাদের পুনঃগ্রেপ্তারের আবেদনও মঞ্জুর করেছেন।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১ এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, লিপু ও মুছাঈদকে দুই দিনের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লিপু ও তার সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে দুই আসামিকে শ্যামনগর থানার দুটি ও আশাশুনি থানার একটিসহ ৩টি মামলায় পুনঃগ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, দেশব্যাপী অনলাইন জুয়া ও ডিজিটাল প্রতারণারোধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লিপুর মতো এজেন্টরা বিদেশে অবস্থানরত চক্রের হয়ে দেশে জুয়ার অর্থ লেনদেন ও সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা তাদের আর্থিক নেটওয়ার্কও খতিয়ে দেখছি।
তিনি আরও বলেন, লিপুর বিরুদ্ধে ২০২১ সালে ঢাকার পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছিল। তার নামে সিআইডির মানি লন্ডারিং অনুসন্ধানও চলছে।
এর আগে গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) গভীর রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খড়িবিলা মোড়ে ডিবি ও সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে লিপু ও তার সহযোগী মুছাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় অনলাইন জুয়ার কাজে ব্যবহৃত ১৬টি মোবাইল ফোন, ৩টি ল্যাপটপ ও বিভিন্ন ডিজিটাল উপকরণ জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি কালবেলায় ‘অনলাইন জুয়ার রাজধানী মেহেরপুর, হেডকোয়ার্টার রাশিয়া’ শিরোনামের সংবাদ প্রকাশ হলে সারা দেশের প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। সেসময় মুর্শিদ আলম লিপু মেহেরপুর থেকে আত্মগোপনে চলে যান।
মন্তব্য করুন