সংঘবদ্ধ উপস্থিতি, সমর্থন এবং নেচে-গেয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করার মাধ্যমে ম্যাচে প্রভাব ফেলার কারণে ফুটবলে দর্শকদের ‘দ্বাদশ ব্যক্তি’ বলা হয়। ঢাকায় সাত গোলের থ্রিলারের পর ফের মুখোমুখি হচ্ছে হংকং চায়না ও বাংলাদেশ। ম্যাচ ঘিরে হামজা চৌধুরীদের বিপক্ষে লড়তে প্রস্তুত হংকং চায়নার ‘দ্বাদশ ব্যক্তি’।
কাই তাক স্টেডিয়াম নতুন রূপ পাওয়ার পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির সিনিয়র জাতীয় দলের দ্বিতীয় অফিসিয়াল ম্যাচ। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল প্রথম। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের টিকিট অনলাইনে তোলা হয়েছিল মাসের প্রথম সপ্তাহে, যা ৯০ মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে দেশটির সাত গোলের থ্রিলার জয় স্থানীয় ফুটবলামোদীদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করছে। আয়োজকদের আশাবাদ এ ম্যাচে গ্যালারি থাকবে দর্শকে ঠাসা, যা হামজা চৌধুরীদের কাজটা আরও কঠিন করে তুলতে পারে।
হংকংয়ের গণমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ড এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছে, ‘কাই তাক স্টেডিয়ামে হংকং-বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ ম্যাচের টিকিট ৯০ মিনিটেই শেষ, পূর্ণ গ্যালারির অপেক্ষা’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ঢাকায় অ্যাওয়ে ম্যাচ শেষে দলটি আবারও ঘরের মাঠে ফিরছে, যেখানে আরেকটি বিদ্যুৎ-চমকানো পরিবেশের প্রত্যাশা করছে শহরের ফুটবলপ্রেমীরা।’ কাই তাক স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৫০ হাজার। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে উপস্থিতি ছিল ৪২ হাজার ৫৭০। এ ভেন্যুতে সর্বোচ্চ উপস্থিতি ছিল গত জুলাইয়ে দুই ইংলিশ ক্লাব— আর্সেনাল ও টটেনহামের মধ্যকার ম্যাচে। সেদিন গ্যালারিতে হাজির ছিলেন ৪৯ হাজার ৯৭৫ দর্শক।
এ ম্যাচে উপস্থিতির সংখ্যা কত হয়— সময়ই বলবে। কিন্তু ঢাকার ম্যাচে উপস্থিত হওয়া স্বল্পসংখ্যক হংকং চায়না সমর্থক যেভাবে দলকে মাতিয়ে রেখেছিল, আজকের ম্যাচে তার বহুগুণ বেশি হওয়ার কথা। প্রতিপক্ষের ‘দ্বাদশ ব্যক্তির’ বিষয় মাথায় রেখেই অবশ্য বাংলাদেশ দল মাঠে নামছে। এ প্রসঙ্গে দলের মিডফিল্ডার সোহেল রানা আগের দিন বলছিলেন, ‘আমরা জানি এখানে (হংকং চায়নায়) এসে এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি।’
মন্তব্য করুন