চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। এবার তাইওয়াানকে মোকাবিলায় নিজস্ব প্রযুক্তির সাবমেরিন নির্মাণ করেছে তাইওয়ান। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বন্দরনগরী কাওশিউংয়ে সাবমেরিনটির উদ্বোধন করেন। খবর রয়টার্স।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই বলেন, ‘আমাদের ইতিহাসে এই দিনটি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এর আগেও নিজস্ব প্রযুক্তিতে সাবমেরিন তৈরির কথা ভেবেছি আমরা। তবে বিষয়টি প্রায় অসম্ভবই ছিল, তার পরও আমরা এটি সম্ভব করেছি। এ সময় তিনি তাইওয়ানের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে সাবমেরিনের উদ্বোধন করেন।
তাইওয়ানের সামরিক কর্মকর্তারা জানান, নিজস্ব প্রযুক্তির এ সাবমেরিনটি ডিজেল ও বিদ্যুৎ শক্তিকে জ্বালানি ব্যবহার করা হবে। এটি নির্মাণে ১৫৪ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। কয়েকটি ধাপের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এটিকে ২০২৪ সালের শেষের দিকে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কর্মকর্তারা জানান, নির্মিত এ সাবমেরিনটি হাইকুন নামে নামকরণ করা হয়েছে। চীনা লোকগাথা অনুসারে হাইকুন একটি মাছের নাম। এটি পানিতে বসবাস করলেও আকাশে উড়ার ক্ষমতা রয়েছে। তাইওয়ান আগামীতে ১০টি সাবমেরনি নিয়ে বিশাল বহরের পরিকল্পনা নিয়েছে। বর্তমানে তাদের আরও একটি সাবমেরিন নির্মাণাধীন রয়েছে।
তাইওয়ানের সাবমেরিন প্রকল্পের প্রধান অ্যাডমিরাল হুয়াং শু-কুয়াং গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, এসব সাবমেরিন নির্মাণের লক্ষ্য হলো তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলে চীনের আক্রমণ রুখে দেওয়া এবং নৌ অবরোধ অকার্যকর করে দেওয়া। এ জন্য তাইওয়ান সাবমেরিন প্রল্পে মনযোগ দিয়েছে।
মন্তব্য করুন