জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন। তাদের সন্ধানে প্রায় এক হাজার উদ্ধারকর্মী সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উদ্ধারকাজ অব্যাহত রেখেছেন। খবর বিবিসির।
শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং পরবর্তী আফটারশকের কারণে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। এসব ভবনের নিচে চাপা পড়ে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ভূমিকম্পের কারণে সুনামি ও অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে ভূমিকম্পের কারণে অনেক পথঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান ও উদ্ধারে আমাদের সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে হবে। অসংখ্য হতাহত, ভবন ধস ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধারকর্মীদের জন্য নোটো উপদ্বীপের উত্তর প্রান্তে পৌঁছানো কঠিন হয়ে উঠছে।
এ ছাড়া ভূমিকম্পের পর ইশিকাওয়া অঞ্চলে প্রায় ৩৩ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ছে। বিদ্যুতের অভাবে চরম শীতের মাঝে সাধারণ মানুষকে রাত্রিযাপন করতে হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক শহরে পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
এর আগে সোমবার (১ জানুয়ারি) জাপানের উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর পর উপকূলীয় অঞ্চল ইশিকাওয়া, নিগাতা ও তোয়ামায় সুনামি সতর্কতা জারি করে জাপানের আবহাওয়া বিভাগ। এমন সতর্কবার্তার ঘণ্টাখানেক পরই স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২১ মিনিটে ইশিকাওয়া অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরের উপকূলে ৩ দশমিক ৯ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ে। এ ছাড়া তোয়ামা শহর, কাশিওয়াজাকি, কানাজাওয়া বন্দর, টোবিশিমা দ্বীপ, সাদো দ্বীপসহ জাপানের পশ্চিম উপকূলীয় কয়েকটি এলাকায় এক মিটারের কম উচ্চতার সুনামির খবর পাওয়া গেছে। তবে বর্তমান জাপানের সব অঞ্চল থেকে সুনামি সতর্কবার্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন