ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ কাখোভকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধে হামলার ঘটনাকে ‘বড় ধরনের পরিবেশগত বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ হামলার ঘটনা ঘটলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সামরিক পরিকল্পনা থেকে ইউক্রেন সরে আসবে না বলেও জানান তিনি।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বাঁধটিতে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে বাধা দেওয়ার জন্য বন্যাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতেই বাঁধটি উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে, বাঁধটিতে হামলার ঘটনায় ইউক্রেনকে দায়ী করছে রাশিয়া। তারা বলছে, পাল্টা আক্রমণের ব্যর্থতার খবরকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলছেন, তার বাহিনী প্রথম তিন দিনের লড়াইয়ে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণকে প্রতিহত করেছে। এতে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা হতাহত হয়েছে। রুশ বাহিনীকে ধীর করতেই ইউক্রেন বাঁধটি ধসিয়েছে।
তবে রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনো পক্ষই বাঁধটি ধসের ব্যাপারে নিজেদের দাবির প্রমাণ দিতে পারেনি।
এর আগে বাঁধ ধ্বংস হওয়ার পরপর জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সভা ডাকেন জেলেনস্কি। সভা শেষে তিনি জানান, সোমবার রাত ২টা ৫০ মিনিটে কাখোভকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ উড়িছে দেয় রাশিয়া। এতে প্রায় ৮০টি শহর ও গ্রাম প্লাবিত হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনার পরপর প্লাবিত এলাকা থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় সরকার ও কর্মকর্তরা সবকিছু করছেন বলে জানান জেলেনস্কি। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যারা আছেন তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন