

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি যৌথ ও দৃঢ় অবস্থান নেয়, তবে নেতানিয়াহু প্রশাসনের ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন থামানো সম্ভব।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২৩ সালে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে তুরস্ক ফিলিস্তিনি ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে কূটনৈতিক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে আঙ্কারা। এর আগে তুরস্ক একসময় প্রায় একাই গণহত্যার বিরোধিতা করলেও পরে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতানিয়াহু সরকারের সমালোচকও বেড়েছে।
এরদোয়ান অভিযোগ করেন, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন নেতানিয়াহুকে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যেতে উৎসাহ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দৃঢ় ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান নিলে এবং নিষেধাজ্ঞার শক্তি ব্যবহার করলে নেতানিয়াহুকে থামানো সম্ভব। আমরা এমন এক হত্যাকারী শাসনের মুখোমুখি, যারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। ইসরায়েল বারবার মিথ্যা বলে ও অজুহাত তৈরি করে আরও মানুষ হত্যার পথ খুলে দিচ্ছে—এটা এখন সবার সামনে পরিষ্কার।
এরদোয়ান আরও দাবি করেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন সত্ত্বেও হামাস ধৈর্য ধরে প্ররোচনায় না জড়িয়ে যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনিরা মানবিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। সব দেশই ফিলিস্তিনের সংগ্রামে পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব রাখে। যে সব দেশ ইসরায়েলের বেপরোয়া অবস্থানের পথ সুগম করেছে, তাদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত তার কর্তব্য পালন করতে পারেনি। এখন জরুরি প্রয়োজন হলো ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক চাপকে আরও দৃশ্যমান করা এবং মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।
তিনি শীতের আগমনের কথা উল্লেখ করে বলেন, অতীতে যেমন করেছি, ভবিষ্যতেও গাজা ইস্যুতে আমাদের অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন