

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছেন তিনি। এরদোয়ান বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান খুব দূরে নয়।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার তুর্কমেনিস্তানে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দেশে ফেরার পথে বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন এরদোয়ান। শনিবার সকালে এরদোয়ানের দপ্তর থেকে এসব বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।
এরদোয়ান জানান, তিনি ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। একই সঙ্গে তিনি কৃষ্ণসাগরে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, এই অঞ্চলকে কোনোভাবেই সংঘাতের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
এরদোয়ান বলেন, এতে রাশিয়া বা ইউক্রেন— কারওই লাভ হবে না। কৃষ্ণসাগরে নিরাপদ নৌ চলাচল সবার প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলের একটি বন্দরে রুশ বিমান হামলায় তুর্কি মালিকানাধীন একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে কিয়েভ ও জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই এরদোয়ান বিষয়টি সরাসরি পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় তুলেছিলেন।
এরদোয়ানের দপ্তর জানিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বন্দর ও জ্বালানি স্থাপনায় হামলার বিষয়ে একটি সীমিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কো ও কিয়েভ— উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে তুরস্ক। বসফরাস প্রণালির নিয়ন্ত্রণ তুরস্কের হাতে, যা ইউক্রেনীয় শস্য ও রুশ তেল ভূমধ্যসাগরে পরিবহনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। গত কয়েক সপ্তাহে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক ট্যাংকারে হামলা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু ড্রোন হামলার দায় ইউক্রেন স্বীকার করেছে। এসব ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তুরস্ক রাশিয়া ও ইউক্রেন— উভয় দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল।
সিরিয়া প্রসঙ্গে এরদোয়ান ১০ মার্চের চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১০ মার্চের চুক্তি অঞ্চলটির ভবিষ্যতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনই সিরিয়ার জন্য সবচেয়ে উপকারী হবে। জাতিগত বা ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে সব সিরীয় নাগরিকের শান্তি ও সমৃদ্ধি চায় তুরস্ক।
গাজা পরিস্থিতি নিয়ে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। ইসরায়েলের উচিত যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি মেনে চলা এবং গাজায় স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনা।
মন্তব্য করুন