ভারতের কেরালায় স্ত্রীর ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন নওশাদ নামে এক ব্যক্তি। দেড় বছর পর জনসমক্ষে এসে নিজেই এমনই দাবি করলেন, যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেন থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কেরালার ইডুক্কি জেলার এক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, কেরলের পাথানামথিট্টা জেলার বাসিন্দা নওশাদ গত দেড় বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে নিজের ভাড়া বাড়ি থেকে হঠাৎই উধাও হয়ে যান তিনি। সেখান থেকে পালিয়ে ওই জেলারই এক ফার্মহাউসে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। নিখোঁজ হওয়ার পর নওশাদের বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হন। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নওশাদের স্ত্রী আফসানাকে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার স্ত্রী দাবি করেন নওশাদকে তিনি খুন করে পুঁতে দিয়েছেন। এমন দাবির পরই আফসানাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে নওশাদের মরদেহের খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু কোথাও তার মরদেহ পাওয়া যায়নি। পুলিশকে ভুল পথে চালনা করার জন্য আফসানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঠিক তার দুদিন পরই খোঁজ মেলে নওশাদের।
পুলিশ আরও জানায়, আফসানা অবশ্য গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে জানিয়েছিলেন তিনি নওশাদকে সম্প্রতি দেখতে পেয়েছেন। যদিও তার দাবি তখন মানা হয়নি। ভাবা হয়েছিল, নিজের অপরাধ লুকাতেই এহেন কথা বলছেন তিনি। তবে সত্যিই নওশাদ সামনে আসায় ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। কিন্তু কেন তিনি প্রায় দেড় বছর লুকিয়ে ছিলেন?
এদিকে নওশাদ জানান, কয়েকজন লোকজন এসে একদিন হঠাৎই তাকে বেধড়ক মারধর করেন। কেন তাকে মারধর করা হচ্ছে জানতে চাইলে, তারা বলেন, আফসানা তাদের পাঠিয়েছেন নওশাদকে মারতে। তাই স্ত্রীর ভয়েই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার স্ত্রী কেন না করা ‘অপরাধ’ নিজের কাধে নিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন