রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার (১৮ আগস্ট) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এর মাত্র কয়েক দিন আগে পুতিন আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ স্থায়ীভাবে শেষ করার সম্ভাবনা নিয়ে বৈঠক করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদি টেলিফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রয়োজন এবং ভারত এ ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন দিতে প্রস্তুত। পাশাপাশি মোদি ও পুতিন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন। দুই নেতা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
পরে এক্সে মোদি লিখেছেন, বন্ধু প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ জানাই ফোন করার জন্য এবং আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠক সম্পর্কে মতামত শেয়ার করার জন্য। ভারত সবসময় ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে কথা বলেছে এবং এই প্রক্রিয়ার সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে আসছে।
আরও পড়ুন : জ্যামে পড়লেই উড়াল দেবে এ গাড়ি
তিনি আরও যোগ করেন, আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, ১০ দিন আগে পুতিন ও মোদির মধ্যে ফোনালাপ হয়েছিল। সে সময় বৈশ্বিক বাণিজ্য অনিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা হয়, বিশেষত ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, ভারত রাশিয়া থেকে ডিসকাউন্টে অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রাখায় দিল্লির পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, এই অর্থ ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার তহবিল বাড়াচ্ছে।
ভারত পাল্টা যুক্তি দিয়েছে, উন্নত পশ্চিমা দেশগুলো যেহেতু জ্বালানির ওপর তেমন নির্ভরশীল নয়, তারা সহজেই বিকল্প উৎস থেকে বেশি দামে জ্বালানি কিনতে পারে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিলিয়ন মানুষের জ্বালানি চাহিদা এবং ব্যয়ের ভারসাম্য বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
পুতিনের ফোন কলটি আসে এমন এক সময়ে, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন। আলাস্কার তথাকথিত ‘শান্তি সম্মেলনে’ তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে এবার জেলেনস্কির সঙ্গে কূটনৈতিক সহায়তা থাকবে, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার উপস্থিত থাকবেন।
মন্তব্য করুন