ভারতের মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির গায়ের ওপর প্রস্রাব করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম প্রবেশ শুক্লা। তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি ধারা এবং ইন্ডিংয়ান প্যানেল কোডের অন্যান্য ধারায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) মধ্যরাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ক্যামেরায় দেখা গেছে মধ্যপ্রদেশে এক ব্যক্তির গায়ের ওপর প্রবেশ প্রস্রাব করেছে। খবর এনডিটিভির।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার এড়াতে শুক্লা বার বার অবস্থান পরিবর্তন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। পরে গতকাল মধ্যরাতে তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসবাদ করা হয়। এ ছাড়া তদন্তের অংশ হিসেবে তার স্ত্রী ও বাবা-মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি দোকানের সামনে এক ব্যক্তি বসে আছেন। সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট মুখে আরেক ব্যক্তি ওই ব্যক্তির মুখে প্রস্রাব করছেন। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা ঝড় ওঠে। ভিডিওটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ শিং চৌহানের নজরে এলে তিনি কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রবেশ শুক্লা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজিপি) সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে। আর এই বিষয়টি বিরোধী রাজনীতিকদের তোপ দাগার সুযোগ এনে দিয়েছে। যেমন ভিডিওটির ব্যাপারে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতা কমলনাথের নজরে এলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের ব্যক্তির সঙ্গে এমন অসভ্য আচরণ করেছেন। সভ্য সমাজে আদিবাসী সম্প্রদায়ের যুবকদের সঙ্গে এমন জঘন্য কাজের কোনো স্থান নেই। ঘটনাটি পুরো মধ্যপ্রদেশকে লজ্জায় ফেলেছে। দোষী ব্যক্তির কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত যাতে মধ্যপ্রদেশে আদিবাসীদের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
জানা গেছে, সিধির বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা এবং রেওয়ার বিজেপি বিধায়ক রাজেন্দ্র শুক্লার সঙ্গে অভিযুক্ত প্রবেশ শুক্লার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। যদিও বিজেপি স্পষ্টভাবে প্রবেশের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে।
বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা দাবি করেছেন, প্রবেশ শুক্লা তার কোনো কর্মী বা প্রতিনিধি নন। তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
মন্তব্য করুন