শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

লেবাননের নেতার মৃত্যুতে উল্লাসে মেতেছে সিরিয়ানরা

নাসরুল্লাহ নিহতের খবরে সিরিয়ানদের উল্লাস। ছবি : সংগৃহীত
নাসরুল্লাহ নিহতের খবরে সিরিয়ানদের উল্লাস। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহত হন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এই ঘটনায় ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় উল্লাসে ফেটে পড়েছে আরেক আরব রাষ্ট্র সিরিয়ার জনগণ। যদিও সিরিয়াও ইসরায়েলের শত্রু হিসেবেই পরিচিত। তবে নাসরুল্লাহর মৃত্যুতে কেন তাদের উল্লাস?

দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার ইদলিবে নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পর মানুষ রাস্তায় নেমে এসে উল্লাস শুরু করে। এ সময় গাড়িচালকরা তাদের হর্ণ বাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে। এমনকি কেউ কেউ আকাশে ফাকা গুলি করেও এ ঘটনা উদযাপন করে। ইদলিব অঞ্চলটি ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সেনাদের দ্বারা চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে।

সিরিয়া গৃহযুদ্ধে নাসরুল্লাহর নেতৃত্বাধীন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা বাশার আল আসাদের বাহিনীর পক্ষে লড়াই করছে। এ সময় হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বাশারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে। মূলত সুন্নিপন্থী বিদ্রোহীদের মোকাবেলায় শিয়া মতাদর্শের অনুসারী বাশার আল আসাদ সরকার রক্ষায় উঠেপড়ে লেগেছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।

সিরিয়ানরা বলছেন, এটি হাজার হাজার সিরিয়ান নাগরিক হত্যার প্রতিশোধ। হিজবুল্লাহ হাজার হাজার সিরিয়ান নাগরিকের ক্ষুদার যন্ত্রণায় কাতরানোর জন্য দায়ী। তারা সিরিয়ানদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার জন্যও দায়ী। এ সময় বেশ কয়েকজন সিরিয়ান নাগরিক নাসরুল্লাহকে একজন খুনী হিসেবেও আখ্যায়িত করেন। তারা জানান, বাশার আল আসাদের বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে হিজবুল্লাহ সিরিয়ানদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ডকে ন্যায়বিচার বলে বর্ণনা করেছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নাসরুল্লাহকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইসরায়েলি বোমা হামলাকে লজ্জাজনক আক্রমন বলে আখ্যায়িত করেছে ইরাক। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান।

এদিকে নাসরুল্লাহর মৃত্যুতে ভয়ে কুকড়ে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী। প্রথমে খোদ তেহরানের ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ড তারপর লেবাননে নাসরুল্লাহ নিহতের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তেহরানের যোগ্যতাহীন গোয়েন্দাদের নিদারুণ ব্যর্থতার চিত্র।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দলে দলে ঘরে ফিরছে হাজারো গাজাবাসী

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

রাজধানী থেকে বগুড়া শহর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

হেফাজতে ইসলাম সবার জন্য পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে :  এ্যানি

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া

দেশের ৪০ শতাংশ নারী থাইরয়েডে আক্রান্ত!

‘এই পচা চালের ভাত কীভাবে খাব’

‘পুলিশ এখন বানরের মতো’ বললেন ওসি হাবিবুল্লাহ

১০

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে নামতে পারে আর্জেন্টিনা

১১

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন : নীরব

১২

যশোরের ৪ মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ

১৩

সুদের টাকা না পেয়ে ঘরের টিন কাঠ খুঁটি খুলে নিলেন ইমাম

১৪

সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের মৃত্যুতে ঢাবি সাদা দলের শোক

১৫

কিউইদের কাছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শোচনীয় পরাজয়

১৬

বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাসী : ব্যারিস্টার অসীম

১৭

প্রত্যেক উপদেষ্টা বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা

১৮

বিশ্বকাপ দলে ডাক পেলেন ঢাবি ছাত্রদল নেতা

১৯

ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হতে যাচ্ছে : প্রেস সচিব

২০
X