কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লেবানন নিয়ে দুঃসংবাদ দিলেন প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রধান

ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রধান নাঈম কাশেম। ছবি : সংগৃহীত
ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রধান নাঈম কাশেম। ছবি : সংগৃহীত

বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়া হয়ে লেবাননে অস্ত্র সরবরাহের যে পথ ছিল, তা এখন আর নেই বলে স্বীকার করেছেন ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রধান নাঈম কাশেম। তিনি শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো জনগণের উদ্দেশ্যে এই বিষয়টি তুলে ধরেন।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কাশেম বলেন, হ্যাঁ, সিরিয়ার মধ্য দিয়ে সামরিক অস্ত্র সরবরাহের যে পথ ছিল, তা এখন আর নেই। আমাদের এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আসাদের শাসনামলে, সিরিয়া ছিল ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুট, যেখানে ইরান থেকে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম ইরাক ও সিরিয়া হয়ে হিজবুল্লাহর কাছে পৌঁছাত।

বিদ্রোহী জোটের দখলে সীমান্ত ও দামেস্ক চলতি মাসের ৬ ডিসেম্বর আসাদবিরোধী যোদ্ধারা ইরাক সীমান্ত দখল করে এবং এর দুদিন পর তারা দামেস্কও দখল করে নেয়। ফলে সিরিয়া হয়ে অস্ত্র সরবরাহের এই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

কাশেম আরও বলেন, আমরা আশা করি, নতুন সরকার আসলে এই রাস্তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে, অথবা আমরা বিকল্প রাস্তার সন্ধান করতে পারি। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, সিরিয়ার নতুন শাসক গোষ্ঠী ইসরায়েলকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করবে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না।

হিজবুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে আসাদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে এবং আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।

আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের পর সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করেছে হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীরা। তারা তুরস্কের সমর্থন পেয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত দিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চবি ছাত্রদলের এক নেতার পদ স্থগিত

অভিজ্ঞতা হলো জীবনের সবচেয়ে বড় সঞ্চয়: দীপিকা পাড়ুকোন

বিকেএসপিতে চাইনিজ গভার্নমেন্ট স্কলারশিপ নিয়ে বিশেষ সেমিনার

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার প্রসঙ্গে যা বললেন ফয়েজ তৈয়্যব

কটাক্ষের শিকার অনন্যা

৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং / ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

রাজনীতিতে হাসিনার উত্থান-পতন যেভাবে

সাগরপথে পাচারের সময় ৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

কারও সঙ্গে ৩ দিনের বেশি কথা না বললে কী হয়? যা বলছে ইসলাম

দাম কমেছে বলছেন ট্রাম্প, কিন্তু জীবনযাত্রার ব্যয়ে ক্ষুব্ধ মার্কিনিরা

১০

হঠাৎ মিষ্টি খেতে মন চায়, এটা কীসের ইঙ্গিত

১১

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১২

শেখ হাসিনার যত ভুল

১৩

কন্যার নাম ‘কুর্দিস্তান’ রেখে ফিলিস্তিনি বাবার বার্তা

১৪

সেই দিন রায় ঘোষণার আগে যা বলেছিলেন দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী

১৫

মনোমুগ্ধকর জয়া

১৬

ওসির সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ, ৩৩ বছর পর ফিরলেন মোবারক

১৭

রাশিয়ার ড্রোন হামলা ঠেকানোর মতো সক্ষমতা ইউরোপের নেই : ইইউ

১৮

বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার খবর কী

১৯

ফ্যান চালালে মাসে কত টাকা বিদ্যুৎ খরচ হয় জেনে নিন

২০
X