বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কোন ভুলের শাস্তি পাচ্ছে লেবানন?

ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ধোয়া উড়ছে। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ধোয়া উড়ছে। ছবি : সংগৃহীত

একসময় লেবানন ছিল আরব্য ধনীদের প্রাণকেন্দ্র। এখন আর্থিক সংকটে থাকা দেশটি প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করছে। কয়েক মাস আগেও সাহায্যের জন্য সৌদি আরবের দ্বারস্থ হয়েছিল লেবানিজ সরকার। কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে রিয়াদ। শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের কলকাঠি নাড়ার কারণেই ধুঁকে ধুঁকে শেষ হয়ে যাচ্ছে লেবানন। কী ভুলের কারণে এভাবে শাস্তি পাচ্ছে লেবানন?

লেবাননের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ। মুসলিম ও খ্রিস্টানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এখন দেশ পরিচালনা করা হয়। এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির বিশ্বে বিরল। কিন্তু এই দেশেই রয়েছে তৃতীয় আরেকটি ফোর্স, সেটি হলো প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তাদের সামরিক শক্তির পাশাপাশি লেবাননের রাজনীতিতেও রয়েছে ব্যাপক প্রভাব। এই গ্রুপটি আবার ইরানঘেঁষা। তাই শান্তির দেশ লেবানন নিয়ে শুরু হয় বহুমুখী রাজনীতি।

সাদ হারিরি পরিবার যখন লেবাননের ক্ষমতায় ছিল, যখন শান-শৌকত ভালোই উপভোগ করেছে দেশটি। কিন্তু প্রাণভয়ে সাদ হারিরি সৌদি পালিয়ে যাওয়ার পরই শনির দশা লাগে লেবাননে। একের পর এক ব্যর্থ সরকার আর আর্থিক সংকট দেশটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে।

আবার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা লেবাননের কোমর ভেঙে দিচ্ছে। তাই উপায় না দেখে প্রতিবেশী ধনী দেশগুলোর দ্বারে দ্বারে ঘুরছে লেবানিজ সরকার।

প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি লেবাননকে আরও শক্ত হতে হবে; দেশটির প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনকে এমন বার্তা দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। মিডল ইস্ট আই বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এমন বার্তা নিয়েই শুক্রবার বৈরুতে পা রাখবেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি মিডল ইস্ট দূত মর্গান ওরটাগাস। দেশটিতে পৌঁছে তিনি আউন ও অন্যান্য শীর্ষ লেবানিজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিষ্ক্রিয় করতে লেবানিজ সেনাবাহিনীকে আরও সক্রিয় করতে আউনকে চাপ দেওয়া হতে পারে।

বিপরীতে সৌদি আরব কেন লেবানন পুনর্গঠনে প্রতিশ্রুতি দেওয়া তহবিল আটকে দিল তা জানতে চাইবেন বৈরুতের কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই সৌদি আরব লেবানন অর্থ দিচ্ছে না। গেল মার্চে সৌদি সফরে গিয়েছিলে আউন। কিন্তু তাকে খালি হাতে ফিরতে হয়। এমনকি লেবানিজ পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতেও আপত্তি জানায় রিয়াদ। এ ছাড়া সৌদি দেশটির নাগরিকদের লেবাননে যাওয়াও আটকে রেখেছে। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালামকে সৌদি থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়।

সৌদি ও যুক্তরাষ্ট্রের সুনজর না পড়লে যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে লেবাননের সেনাবাহিনী। কেননা সেনাবাহিনীর সদস্যদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারছে না সরকার। গত মার্চে ট্রাম্প প্রশাসন লেবানিজ আর্মিকে অর্থসহায়তা বরাদ্দ দিলেও তা বেতনের বাইরে অন্য খাতে ব্যয় করা লাগবে। আর আগামী বছর হয়তো, লেবাননকে আর কোনো টাকাই দেবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই বাকি থাকল সৌদি। কিন্তু সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কর্মকাণ্ড আরও বেশি সন্দেহে ভরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঐক্যবদ্ধভাবে অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : সেলিমুজ্জামান 

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘প্রবাহ’

চবির ফারসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম অভিযোগ গেল দুদকে

একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে হাসপাতাল

চারদিন পর খাগড়াছড়িতে অবরোধ স্থগিত

চলতি অর্থবছর কেমন হবে, জানাল এডিবি

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবাই মিলে দেশ গড়ব : ড. ফরিদুজ্জামান

সিপিআর বাঁচাতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লাখো প্রাণ

‘আল্লাহ, তুই দেহিস’ / সেই বৃদ্ধের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার

গানপাউডারসহ আ.লীগ কর্মী গ্রেপ্তার

১০

চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে ১৪ হাজারের বেশি আনসার-ভিডিপি

১১

গর্ভাবস্থায় নারীদের বমি-বমি ভাবের ‘আসল রহস্য’ জানালেন গবেষকরা

১২

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার ৭ সুপারিশ

১৩

তারেক মনোয়ারের বিষয়ে জামায়াতের বার্তা

১৪

ডা. শফিকুর রহমান হবেন বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী : ইয়াসিন খাঁন

১৫

আসুন আমরা অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকি : মঈন খান

১৬

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা হচ্ছে না বুলবুল-ফাহিমের, করতে হবে নির্বাচন

১৭

নির্বাচনে সমমনা ইসলামী দলগুলোর ঐক্য অপরিহার্য : মাওলানা ইউসুফী

১৮

বাংলাদেশিদের জন্য যেসব দেশের ভিসা সহজে মিলছে না

১৯

পুনাকের উদ্যোগে কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা

২০
X