কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অপারেশন রাইজিং লায়ন সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

ভোর প্রায় ৩টা। ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন স্থানে অন্ধকার রাতেই ভয়াবহ হামলা চালাল ইসরায়েল। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই দৃশ্যমান হতে থাকে এ হামলার ক্ষয়ক্ষতি।

শুক্রবার ইরানে একটি বৃহৎ সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। এই অভিযানটি ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু জানান, এই অভিযানটি চলবে যতদিন পর্যন্ত ইরানের পারমাণবিক হুমকি পুরোপুরি নির্মূল না হয়।

অভিযান ও লক্ষ্য

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ যৌথভাবে এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে। অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধি কেন্দ্র, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, এবং শীর্ষ সামরিক নেতাদের নির্মূল করা। নাটাঞ্জ পারমাণবিক সমৃদ্ধি কেন্দ্র, তেহরানের রাডার সিস্টেম, এবং ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

এ হামলায়, ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতাদের মধ্যে জেনারেল হোসেইন সালামি, মোহাম্মদ বাঘেরি, এবং আলি শামখানি নিহত হন। এছাড়াও ৬জন বিজ্ঞানীও নহত হন।

মোসাদের ভূমিকা

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা, মোসাদ এই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা ইরানে গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করে এবং তিনটি সমন্বিত অপারেশন পরিচালনা করে। যার মাধ্যমে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রাডার সিস্টেমগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। এই গোপন অভিযানগুলো ইসরায়েলের পরবর্তী বিমান হামলাকে সফল করে তোলে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

ইরান এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ১০০টি ড্রোন ইসরায়েলের দিকে পাঠায়। তবে এর বেশিরভাগই প্রতিহত করে ইসরায়েল। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি প্রতিশোধের হুমকি দেন। এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে প্রভাব পড়ে। ইউএই বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট বাতিল করে, যার মধ্যে তেহরান, বাগদাদ, এবং বুখারেস্ট অন্তর্ভুক্ত।

‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ ইরানে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযানগুলোর মধ্যে একটি। এই অভিযানটি ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক সক্ষমতা লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়, যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অনেক রাতে বের হতো, আসতো ভোরে: ফয়সালের স্ত্রী

পুলিশের বিশেষ অভিযানে যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে নেতাকর্মীদের সুখবর দিলেন তারেক রহমান

৪ নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি

ঘরে বসেই প্রতিমাসে আয় দেড় লাখ রিয়াদ-শাকিলা দম্পতির

অফিসে মারামারি করা সেই ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা 

ঝুঁকি নিয়ে চলছে ২৩ বিদ্যালয়ে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষার্থী-অভিভাবক

আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

হাদিকে নিয়ে সিইসির সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল নির্বাচন কমিশন

এনসিপির প্রার্থী ও বৈষম্যবিরোধী নেতাদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ সিএমপির

১০

ইরাসমাস আন্তর্জাতিক ক্রেডিট মোবিলিটিতে যুক্ত হওয়ার যোগ্যতা পেল কুবি

১১

জাতীয় দিবসেও ফুল ব্যবসায়ীদের মুখে হতাশা

১২

মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাবা

১৩

বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১৪

অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ শিখতে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে যাচ্ছেন রেলের কর্মকর্তারা!

১৫

৫ নেতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি

১৬

ক্ষমতায় গেলে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

১৭

বাবার বাড়ি যাওয়া হলো না নীরা বেগমের

১৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশায় গরুর ধাক্কা নিয়ে ৫ ঘণ্টার সংঘর্ষ

১৯

বিগ ব্যাশে শাহীন আফ্রিদির দুঃস্বপ্নের অভিষেক

২০
X