

ভোলার একই উপজেলার ছয় শিক্ষার্থী পেয়েছেন ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ। তারা সবাই লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
সেই ফলাফলে দেখা যায়, এ উপজেলার ছয় শিক্ষার্থী চান্স পেয়েছেন। তাদের মধ্যে— খাদিজা আলম মীম রংপুর মেডিকেল কলেজে, সুমাইয়া আশরাফ শুশমিতা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে, মাইশা হক আদৃতা খুলনা সরকারি মেডিকেল কলেজে, কামরুন নাহার সুজানা জামালপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে, সায়মা কবির আনিকা এবং ইশরাত জাহান সাবরিন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ লাভ করেন।
জানা গেছে, খাদিজা আলম মীম ২০২৪ সালে হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক (গণিত) মো. মাকসুদুর রহমানের মেয়ে। সুমাইয়া আশরাফ শুশমিতা একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি লালমোহন বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফ ছিদ্দিকের মেয়ে।
মাইশা হক আদৃতা ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল হক লিটুর মেয়ে। কামরুন নাহার সুজানা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্ণালী সড়কের বাসিন্দা ঠিকাদার কামরুল ইসলাম রাসেলের মেয়ে।
এ ছাড়া মেডিকেলে চান্স প্রাপ্ত সায়মা কবির আনিকা ডাওরি এলাকার বাসিন্দা ও ভোলা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরের মেয়ে এবং ইশরাত জাহান সাবরিন ধলীনগর ইউনিয়নের চতলা এলাকার সাইদুর রহমান আজাদের মেয়ে।
এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন কালবেলাকে বলেন, আমাদের দুই শিক্ষার্থীর গৌরবময় এ অর্জনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তাদের এ সাফল্য প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্বের। আমরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
মন্তব্য করুন