

গুলিবিদ্ধ ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির শরীরের অন্য অঙ্গগুলো এখনো ‘নিয়ন্ত্রণযোগ্য’।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান। হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার পর এ ব্রিফিং করা হয়।
সায়েদুর রহমান বলেন, ‘হাদির গুলিবিদ্ধ যে মস্তিষ্ক, সেটা ছাড়া বাকি অর্গানগুলো... কিডনি, হার্ট এবং রেসপিরেশন—এ ৩টি ক্ষেত্রকে এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণযোগ্য বলা যেতে পারে। বিভিন্ন ওষুধ আর অক্সিজেনের মাধ্যমে এগুলোকে মোটামুটিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যাত্রার আগে বাংলাদেশ সরকার ও সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল টেলিকনফারেন্সে যোগাযোগ করেছে। আমরা শুধু তার জন্য দোয়া চাইব।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি, যদি আল্লাহ রহম করেন, তাহলে হয়তো হাদি একটা মাত্রার সুস্থতা নিয়ে ফিরে আসবেন।’
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছেড়েছেন শরিফ ওসমান হাদি। সোমবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে হাদিকে বহন করে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তির একজন চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন