ইরানের ‘পটকা ফাঁদে’ পড়েছে ইসরায়েল। এই পটকা ফাঁদ বা ডিকয় ক্ষেপণাস্ত্রের কৌশলে ধরা খেয়ে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে। ফলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর ক্ষমতা কমে আসছে নেতানিয়াহুর সামরিক বাহিনীর। ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর ক্ষমতা কমে আর এই তথ্য প্রকাশ হয়েছে খোদ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে।
মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, ইসরায়েলিদের অন্যতম শক্তিশালী অ্যারো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফুরিয়ে আসছে। ইসরায়েলের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পেছনে কাজ করেছে ইরানের এক দুর্দান্ত ফাঁদ। এর ফলে আর মাত্র ১০ থেকে ১২ দিনেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ফুরিয়ে আসবে বলে খবর প্রকাশ করেছে আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াাশিংটন পোস্ট।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ‘মিসাইল প্রতারণা’ বেশ পরিচিত। একে অনেকে পটকা ফাঁদও বলে। এই পটকা ফাঁদে যে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়, তাকে বলা হয় ‘ডিকয় ক্ষেপণাস্ত্র’। এটি আসল ক্ষেপণাস্ত্রের মতো দেখতে এবং আসল ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই আচরণ করে। কিন্তু এটি মূলত শত্রুর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বিভ্রান্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে এটি আসলে ভুয়া ক্ষেপণাস্ত্রের ফাঁদ।
মূলত কোথাও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার সময় ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে ধাতব পটকা নিক্ষেপ করা হয়। এই ধাতব পটকা থেকে আগুন বের হতে থাকে। ফলে ইসরায়েলের আয়রন ডোমের মতো অন্যান্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলো যখন এই ধাতব পটকা শনাক্ত করে, তখন সেটা আসল ক্ষেপণাস্ত্র মনে করে। তখন সেটিকে বিধ্বস্ত করতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষিপ্ত হয়। এভাবে প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র যখন ধাতব পটকার দিকে যেতে থাকে বা সেটা বিস্ফোরণ ঘটায়, তখনই দ্রুতগতিতে আসল ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে।
ইসরায়েলের আয়রন ডোম থেকে প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র বের হয়ে গেলে সেই আয়রন ডোম নতুন করে লোড করতে ১০ থেকে ১১ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র আয়রন ডোমে শনাক্ত হওয়ার মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যেই তা ইসরায়েলের ভূমিতে আঘাত হানে। এ জন্য ইরান হাইপারসনিক নিক্ষেপের আগে ইসরায়েলের আয়রন ডোমকে পটকা ফাঁদে ফেলে খালি করে নেয়। পরে সফলভাবে হাইপারসনিক আঘাত করে।
মন্তব্য করুন