ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার প্রভাব নিয়ে নানা মূল্যায়ন চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হামলা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তেমন কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাঈল বাঘেই ক্ষয়ক্ষতির বিষয়েও অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
বুধবার (২৫ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাঘেই বলেন, গত সপ্তাহে মার্কিন হামলায় দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। আল জাজিরার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বাঘেই এ মন্তব্য করেন। তবে তিনি হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি।
তিনি বলেন, মার্কিন বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার করে বাঙ্কারভেদী বোমা দিয়ে চালানো হামলাগুলো উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করেছে। এতে আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এটি নিশ্চিত।
এদিকে ট্রাম্প বলেন, গত সপ্তাহে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর চালানো মার্কিন হামলায় দেশটির পারমাণবিক সক্ষমতা ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়ে গেছে। এর ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দশক পিছিয়ে গেছে।
মার্কিন ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ) জানিয়েছে, ফোর্দো, নাতানঞ্জ ও ইসফাহানে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এসব স্থাপনা ধ্বংস হয়নি। এগুলো পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
বুধবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অনুষ্ঠিত ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আমি হিরোশিমা বা নাগাসাকির উদাহরণ দিতে চাই না। কিন্তু বাস্তবতা হলো সেই একই ধরনের ঘটনা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়। এই হামলাই ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ বন্ধ করেছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, যদি এই হামলা না হতো তাহলে এখনো যুদ্ধ অব্যাহত থাকত।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা আসলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানে না। ইসরায়েলের মূল্যায়ন পাওয়ার আগে ইরানের স্থাপনার ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যাবে না।
মন্তব্য করুন