কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রেসিডেন্টের খবর দেখতে না চাওয়ায় ৬ মাসের কারাদণ্ড

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। ছবি : সংগৃহীত
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। ছবি : সংগৃহীত

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের টিভি সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় এক কারাবন্দিকে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই কারাবন্দির আইনজীবী ও একটি মানবাধিকার সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর: আরব নিউজ

আইনজীবী আদেল সঘায়ার জানান, প্রথমে এই বন্দির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপ্রধানের অবমাননার অভিযোগে তিউনিসিয়ার ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৬৭ ধারা অনুযায়ী মামলা করা হয়। পরে মামলাটিকে রাজনৈতিক রূপ না দিতে ‘সর্বজনীন শালীনতা লঙ্ঘন’-এর অভিযোগে রূপান্তর করা হয়।

তিউনিসিয়ান হিউম্যান রাইটস লিগের গাফসা শাখা জানায়, সেই বন্দি কারাগারের কক্ষে থাকা টিভিতে প্রেসিডেন্টের কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রচার চলাকালে তা দেখতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তার সেলের আরেক বন্দি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে তদন্ত শেষে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মানবাধিকার সংস্থাটি এই ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করার নীতির প্রতিফলন। এটি এখন কারাগারের ভেতরেও চলছে।

আইনজীবী বলেন, তার মক্কেল এক ভিন্ন মামলায় আটক ছিলেন, যেটি পরে খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু সাজার বিষয়ে পরিবার জানতে পারে তখনই, যখন মুক্তির সময় তিনি বের হননি।

তিনি জানান, প্রেসিডেন্টের ছবি টিভিতে আসার সময় ওই বন্দি টিভি চ্যানেল পরিবর্তনের দাবি জানান এবং উত্তেজিত হয়ে কিছু গালি দেন। তিনি মনে করেন, প্রেসিডেন্ট সাঈদের কারণে তার জীবন নষ্ট হয়েছে। কারণ তিনি ইতালির সঙ্গে একটি চুক্তি করে অনিয়মিত তিউনিসীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন।

এই বন্দিও আগে ইতালিতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন এবং সেখান থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

২০১৯ সালে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ ২০২১ সালে এক দখলমূলক ক্ষমতা গ্রহণের পর ডিক্রি জারি করে দেশ পরিচালনা করছেন। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহল তিউনিসিয়ার ক্রমবর্ধমান স্বাধীনতা হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। দেশটি এক সময় আরব বসন্তের সূতিকাগার হিসেবে বিবেচিত হতো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চমেক হাসপাতালে হাজতির মৃত্যু

না ফেরার দেশে পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট দলের শেষ জীবিত সদস্য

জেন-জি বিক্ষোভের মুখে এবার দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

আশুলিয়ায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

‘নির্বাচনে পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা’

খাদ্য ফোরামে প্রধান উপদেষ্টার ৬ প্রস্তাব

রাকসু নির্বাচনে ব্যতিক্রমী প্রচারপত্র : মাটিতে ফেললেই জন্মাবে গাছের চারা

হজ নিবন্ধনে সাড়া নেই, এখনো ফাঁকা ৭৫ হাজারের বেশি আসন

চাকসু নির্বাচন / জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় শিবির, মরিয়া অন্যরাও

সালমান শাহর মৃত্যুর মামলার শুনানি শেষ, রায় চলতি মাসে

১০

১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে সরকার, আশ্রয়ে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা : প্রধান উপদেষ্টা

১১

নাগরিক দুর্ভোগ নিরসনে সিটি করপোরেশনে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি

১২

‘৩১ দফা শুধু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, আমাদের বাঁচার স্বপ্ন’

১৩

রামুতে মিথ্যা মামলায় যুবক কারাগারে

১৪

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে পাঠানো হলো ঢাকায়

১৫

মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত জকসু নীতিমালা, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষা

১৬

জাবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৭

বঙ্গ ফ্লেভার অ্যান্ড ফ্র্যাগরেন্স পরিদর্শনে জাইকা প্রতিনিধিদল

১৮

চাকসুতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য থাকছে আলাদা বুথ

১৯

বিশ্ববাজারে আবারও স্বর্ণের রেকর্ড দাম

২০
X