কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৪ এএম
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৫, ০২:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুক্তরাষ্ট্রকে যে ছকে আটকাতে চাইছে ইরান

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ছবি : সংগৃহীত
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ছবি : সংগৃহীত

পরমাণু আলোচনায় ফেরার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে ইরান। তেহরান স্পষ্ট করে জানিয়েছে, শুধু আলোচনায় বসলেই হবে না, আগের আগ্রাসনের ব্যাখ্যা ও ক্ষতিপূরণ ছাড়া সাধারণ অবস্থায় ফেরার প্রশ্নই ওঠে না।

তেহরানে ব্রিটিশ দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, তারা আমাদের আক্রমণ করল, তখন তো আমরা আলোচনার মধ্যেই ছিলাম। এখন তারা যদি সত্যিই আলোচনায় ফিরতে চায়, তাহলে তার আগে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং নিশ্চয়তা দিতে হবে—এ রকম আর হবে না।

চাপ তৈরির কৌশল

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র আস্থা ফিরিয়ে আনার মতো বাস্তব পদক্ষেপ নিচ্ছে, ততক্ষণ আলোচনা সামনে এগোবে না ইরান। অর্থাৎ, ইরান চাইছে দায় স্বীকার, ক্ষতিপূরণ এবং ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা—এই তিন ধাপ পূরণ না হলে যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনায় বসার বৈধতা দেওয়া যাবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, এটিই ইরানের চাপের কৌশল। একদিকে তারা এখনো স্টিভ উইটকফের সঙ্গে অপ্রত্যক্ষ যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের তীব্র বিরোধিতা ও বিশ্বাসভঙ্গের প্রসঙ্গ তুলে নিজেদের অবস্থান আরও কঠোর করছে।

পূর্ববর্তী হামলার প্রেক্ষাপট

গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলা চালিয়ে একাধিক সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়—যা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এর জবাবে ইরানও দখলকৃত ফিলিস্তিন ও কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি আল-উদাইদে পাল্টা হামলা চালায়।

২২ জুনের মধ্যে ইরানের পাল্টা আঘাতে ইসরায়েল অস্ত্রবিরতির অনুরোধ করে। ফলে ছয় নম্বর আলোচনা, যা ১৫ জুন ওমানে হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল হয়।

আলোচনায় ফেরা, কিন্তু শর্তসাপেক্ষে

আরাকচি বলেন, “আলোচনার পথ সংকীর্ণ হলেও একেবারে বন্ধ নয়। কিন্তু এ পথের শুরুর দিকটা ওদের (যুক্তরাষ্ট্র) সদিচ্ছার মাধ্যমে হতে হবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র এখনো শূন্য মাত্রার সমৃদ্ধকরণ চায়, তবে আলোচনার কোনো ভিত্তি থাকবে না।

ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিও হুঁশিয়ারি

ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানিকে লক্ষ্য করে আরাকচি বলেন, যদি তারা ‘স্ন্যাপব্যাক’ মেকানিজম চালু করে, তাহলে এটা হবে আলোচনার শেষ। কারণ তারা কোনো নিষেধাজ্ঞা তুলতে পারে না, কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনতে পারে না।

তথ্যসূত্র : তাসনিম নিউজ এজেন্সি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কালিয়াকৈরে ১০ হাজার তালবীজ রোপণের উদ্যোগ

‘মানুষের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান আমাদের দায়িত্ব’

অর্থের অভাবে সন্তান বিক্রির চেষ্টা, পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক

বীরের বেশে তারেক রহমান প্রত্যাবর্তন করবেন : এনামুল হক

টিকটক করার সময় ট্রেনের ধাক্কা, অতঃপর...

‘দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন মেরিনাররা’

প্রধান শিক্ষকের দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা

ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনের উঠান বৈঠক

‘সরকারি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করা হবে’

টানা ৮ দিন বন্ধ থাকবে সোনামসজিদ স্থলবন্দর

১০

১৫ বছরের কম বয়সীদের টাইফয়েডের টিকা নিশ্চিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার

১১

লালমনিরহাটের দুর্গাপূজায় র‍্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা

১২

রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিয়ে ঢাকায় সেমিনার

১৩

রাতের আঁধারে বিক্রি হচ্ছে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের কারখানার যন্ত্রাংশ

১৪

বিএনপি সব ধর্মের মানুষের পাশে থাকতে বদ্ধপরিকর : নীরব

১৫

বাংলাদেশের ফাইনালের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিল পাকিস্তান

১৬

বাসাপ্রতি ১০০ টাকার বেশি বর্জ্য চার্জ নেওয়া যাবে না : ডিএসসিসির প্রশাসক

১৭

গাজীপুরে ঝুট গুদামে ভয়াবহ আগুন

১৮

ছাত্রীদের ‘আপত্তিকর’ প্রস্তাব দেওয়া সেই অধ্যক্ষকে ওএসডি

১৯

যুক্তরাষ্ট্রের ৬ কোম্পানির ওপর চীনের বড় পদক্ষেপ

২০
X