অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের দিকে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। ইসরায়েলও ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। হামলা-পাল্টা হামলার পর দুদেশেই যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এদিকে হামাস ইসরায়েলের বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিককে ধরে গাজা উপত্যকায় নিয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজা অঞ্চলে নিযুক্ত ইসরায়েলের সাবেক প্রধান সেনা কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিমরোদ আলুনিকে হামাসের হাতে বন্দি। বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল অসমর্থিত তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছে অপহৃতের সংখ্যা ৫২ জন। এ ছাড়া হামাস একটি আইডিএফ ট্যাঙ্ক এবং ২টি ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম অ্যাম্বুলেন্স বন্দিসহ বেশ কয়েকটি যানবাহনও নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) অপহরণ করাকে জঘন্য বলে ঘোষণা দিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাড. ড্যানিয়েল হাগারি শনিবরা (৭ অক্টোবর) এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, হামাস যোদ্ধারা কিছু ইসরায়েলিকে গাজা উপত্যকায় ধরে নিয়ে গেছে। লড়তে গিয়ে কয়েকজন সেনা নিহতও হয়েছেন। তবে কতজন মারা গেছেন বা কতজনকে জিম্মি করা হয়েছে, তা বলতে রাজি হননি তিনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশ ‘যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে’। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের দিক থেকে আকস্মিক আক্রমণ শুরুর পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এক বক্তব্য দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধের মধ্যে আছি, এটা কোনো অভিযান নয়, কোনো উত্তেজনা নয়, এটা যুদ্ধ।’
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বেশকিছু অস্ত্রধারী দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে পড়েছে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপের পর এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি প্রায় ২৫০০ রকেট ছুড়েছে ইসরায়েলে। এ ছাড়া সমুদ্র, স্থলপথ এবং প্যারাগ্লাইড করে অস্ত্রধারীরা ইসরায়েলে ঢুকে পড়েছে।
মন্তব্য করুন