কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি নিয়ে নতুন ঘোষণা

সাত অক্টোবরের আক্রমণে আটক জিম্মিদের একাংশের ছবির কোলাজ। ছবি : গার্ডিয়ান
সাত অক্টোবরের আক্রমণে আটক জিম্মিদের একাংশের ছবির কোলাজ। ছবি : গার্ডিয়ান

ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ‘সমঝোতা চুক্তি’র জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য গাজি হামাদ এনবিসি নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।

হামাদ বলেন, ‘আমরা চাই এই মানুষগুলো বাড়ি ফিরে যাক।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়াও, আমরা চাই আমাদের বন্দিরাও এবার বাড়ি ফিরুক। আমি মনে করি, ‘আমরা এখন সম্পূর্ণ সমঝোতা করতে বা একটি চুক্তি সম্পন্ন করতে প্রস্তুত।’

তবে তিনি শর্ত আরোপ করে বলেন, ‘এর জন্য ইসরায়েলি ডিটেনশন সেন্টার থেকে সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।’ হামাদ বলেন, ‘হামাস যোদ্ধারা কখনোই বেসামরিক মানুষকে হত্যা করতে চায়নি। আমাদের ইসলামের ধর্মে কোনো বেসামরিক নাগরিকের ক্ষতি করা বা হত্যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।’

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে আরও চার ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। এ নিয়ে গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর হামাসের হাতে মোট ২৩ জন ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারাল। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

নিহতরা হলেন, ক্যাপ্টেন বেনি ওয়াইস (২২), মাস্টার সার্জেন্ট উরিয়া ম্যাশ (৪১), মাস্টার সার্জেন্ট ইহোনাটান ইয়োসেফ ব্র্যান্ড (২৮) এবং সার্জেন্ট মেজর গিল পিশিতজ (৩৯)। তারা ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে গাজায় টানা বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যেই ২৭ অক্টোবর থেকে সেখানে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

তিন সপ্তাহের ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে গাজায় নিহতের সংখ্যা নয় হাজার ছাড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় ৯ হাজার ৬১ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৭৬০ জন শিশু রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জোট করলেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট 

শেখ হাসিনা প্রতারণা করেছেন, দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের পুরস্কৃত করেছেন : বিচারক

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে ‘সিন্ডিকেট’, বদলির খেলা চলছে নীরবে

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন ২৮ ডিসেম্বর

শীতের সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের অলিগলিতে পিঠা বিক্রির ধুম

বিপিএলে দল পেয়েই বড় চমক দেখাল নোয়াখালী

বিশ্ববাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

প্লট দুর্নীতি / সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের ১৮ বছরের কারাদণ্ড

দেশের চার সমুদ্রবন্দরে সতর্কসংকেত

নগদে ফিরে এলে বা নতুন অ্যাকাউন্ট খুললেই ক্যাশব্যাকসহ সারপ্রাইজ গিফট

১০

শেখ হাসিনার সম্পদের প্রতি লোভ আছে : বিচারক

১১

র‍্যাগিংয়ের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ পরিবারকে তলব

১২

সৎছেলে নাগাকে নিয়ে যা বললেন অমলা

১৩

দুই দিনে শেষ অ্যাশেজ: পিচকে ‘খুব ভালো’ রেটিং আইসিসির

১৪

যে ৬ সহজ কৌশল রক্ত পরীক্ষায় সুচের ভয় কমাতে সাহায্য করবে

১৫

ইমরান খানের মৃত্যুর গুজব, যা জানাল কারা কর্তৃপক্ষ

১৬

আবারও মালাইকার প্রেমের গুঞ্জন

১৭

প্লট দুর্নীতি মামলায় জয়-পুতুলের ৫ বছর কারাদণ্ড   

১৮

প্লট দুর্নীতির মামলায় গণপূর্তের সাইফুলকে খালাস

১৯

মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নওগাঁ পৌরবাসী, বেড়েছে ডেঙ্গু রোগী

২০
X