হামাস-ইসরায়েলের চার দিনের যুদ্ধবিরতির শেষ দিন আজ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে শেষ হয়ে যাবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। তাই, নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই, নতুন করে যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানো হবে কিনা, তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলেছে হামাস ও ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার জানিয়েছেন, উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে তার প্রশাসনের কোনো আপত্তি নেই। তবে, এ জন্য শর্ত বেঁধে দিয়েছেন তিনি। জানান, একদিন মেয়াদ বাড়াতে ১০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হলে মেয়াদ বাড়ানোয় রাজি হবেন তারা। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে বলেও জানান নেতানিয়াহু।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি বলেছেন, চলমান যুদ্ধবিরতি এক, অথবা দুই, অথবা তিন দিন পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। তবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানাতে পারেননি।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এখন লক্ষ্য হচ্ছে আরও বেশি জিম্মিকে উদ্ধার করা। গাজায় আরও বেশি ত্রাণ প্রবেশ করানো। এ জন্য সোমবারের পরেও যুদ্ধবিরতি থাকা প্রয়োজন। জানান, বিষয়টি নিয়ে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে- কাতার, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অন্যদিকে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে হামাসের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান।
সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইরানের প্রত্যাশা গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে। তেল আবিব উপত্যকাটিতে যা করছে তাকে ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধ বলেও আখ্যা দেন এই মুখপাত্র।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে জিম্মিদের উদ্ধার করে গাজায় আবারও হামলা শুরু করবে তারা। এতে সর্বনিম্ন এক থেকে দশ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় তারা যে অভিযান শুরু করেছেন, তা কেবল হামাসকে নির্মূলের মাধ্যমে শেষ হবে। তবে ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা- ইউএনআরডব্লিউ বলছে, ইসরায়েল হামাসকে নির্মূলের জন্য দক্ষিণ গাজাতে হামলা শুরু করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
মন্তব্য করুন